লকডাউন ১০০ শতাংশ সফল করতে এবার রাজ্যে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানোর পক্ষে সওয়াল রাজ্যপালের
করোনা মোকাবিলায় ১০০ শতাংশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, পুলিস ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানোর ক্ষেত্রেও সওয়াল করেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকায় প্রশংসা করেছিলেন কিছুদিন আগেই। বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সেই রাজ্যপালই এবার রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন। রাজ্যপালের অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় ১০০ শতাংশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, পুলিস ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানোর ক্ষেত্রেও সওয়াল করেছেন তিনি।
মার্চ মাসের ২১ তারিখ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছিলেন, "করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছেন। এটি একটি ইতিবাচক দিক। তবে পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব বেশি। সেকথা মাথায় রেখে আরও সচেতন হতে হবে। " এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সংঘাতের ছবিটাই প্রকাশ্যে এসেছে একাধিকবার। কিন্তু করোনা-যুদ্ধে রাজ্যপালের এই মন্তব্য সহযোগিতার আশ্বাসবাণী বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তথ্য গোপন থেকে করোনা কিট নিয়ে কাটমানির অভিযোগ, বিস্ফোরক দিলীপ
কিন্তু দিন তিনেক আগেই রেশনে দুর্নীতি, করোনায় সঠিক তথ্য গোপন, লকডাউন ১০০ শতাংশ করতে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা- ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, রাজাবাজার, একবালপুর-এসব এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও নিশ্চুপ। এছাড়া রেশনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের 'দাদাগিরি' নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এসবের মধ্যেই রাজ্যকে সচেতন করে চিঠি আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেও। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন।
বুধবার লকডাউনে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, রাজ্য প্রশাসন, পুলিস লকডাউন ১০০ শতাংশ সফল করতে ব্যর্থ। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজন, তা পালন করা হচ্ছে না।
রাজ্যপাল এক্ষেত্রে রাজ্যে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের এহেন টুইট যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।