Group-C Recruitment: গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার আবেদন পত্রে সামান্য ত্রুটি রয়েছে। এই মামলায় কমিশন(Election Commision) এবং পর্ষদকে পার্টি করা হয়নি। তাদেরও পার্টি করতে হবে বলে নির্দেশ হাইকোর্টের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ(interim Stay Order) দিল হাইকোর্ট(High Court)। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। CBI অনুসন্ধান সহ চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর এই স্থগিতাদেশ(Stay Order) জারি করল আদালত। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার আবেদন পত্রে সামান্য ত্রুটি রয়েছে। এই মামলায় কমিশন(Election Commision) এবং পর্ষদকে পার্টি করা হয়নি। তাদেরও পার্টি করতে হবে বলে নির্দেশ হাইকোর্টের।
প্রসঙ্গত, SSC-র গ্রুপ ডি নিয়োগে (Group D Recruitment) দু্র্নীতির মামলায় সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশে জারি করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim Stay Order)। সেই সঙ্গে গ্রুপ সি (Group C Recruitment ) নিয়োগ মামলাতেও এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার। মামলা দায়ের করা হয় ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench)। সেই মামলার শুনানিতেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- Group-D Recruitment: CBI অনুসন্ধানের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। স্রেফ গ্রুপ ডি-ই (SSC Group D) নয়, সেবছর একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ সি (SSC Group C) পদেও কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষার পর যথারীতি প্যানেলও তৈরি করা হয়। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে এক ব্যক্তি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। কেন? মামলাকারীদের অভিযোগ, SSC-র Group C পদে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিয়োগ করা হয়েছে সাড়ে তিনশো জনকে! তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও জমা পড়ে আদালতে। যাঁরা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- Group-C Recruitment: গ্রুপ-সি নিয়োগেও দুর্নীতি! ৩৫০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ, অনুসন্ধানভার CBI-কে
SSC-র Group C নিয়োগ মামলায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল ৩৫০ জনকেই। কিন্তু বুধবার আদালতে হাজিরা দেননি কেউ। আর এতেই ক্ষুদ্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্রেফ সিবিআই অনুসন্ধানই (CBI Investigation) নয়, নিয়ম না মেনে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের চাকরিও খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায় খারিজের আর্জি জানিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।