চিকিৎসককে চড়, তৃণমূলী দাদাগিরি মিন্টো পার্কের নার্সিংহোমে
চিকিত্সা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়ে রোগীর ছেলের হাতে জুটল সপাটে দুই চড়। হতভম্ব চিকিত্সক তা সামলে ওঠার আগেই ধেয়ে এল একের পর এক হুমকি। এর জেরে রবিবার রাতে কলকাতার মিন্টো পার্কের এক নার্সিংহোমে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত আসিফ খান এই গোটা দাদাগিরি-পর্ব চালালেন নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পরিচয় দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে বেনিয়াপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিত্সক।
চিকিত্সা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়ে রোগীর ছেলের হাতে জুটল সপাটে দুই চড়। হতভম্ব চিকিত্সক তা সামলে ওঠার আগেই ধেয়ে এল একের পর এক হুমকি। এর জেরে রবিবার রাতে কলকাতার মিন্টো পার্কের এক নার্সিংহোমে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত আসিফ খান এই গোটা দাদাগিরি-পর্ব চালালেন নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পরিচয় দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে বেনিয়াপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিত্সক।
এসেছিলেন বাবার চিকিত্সা করাতে। কিন্তু হাসপাতাল দেখল রোগীর ছেলের দাদাগিরি। আর সেই দাদাগিরি চলল শাসক দলের নেতা পরিচয়ে।
অভিযুক্ত আসিফ খানের বাবা গত তেইশে জুন থেকে ভর্তি ছিলেন মিন্টো পার্কের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে ফের ভর্তি করানো হয়। যে চিকিত্সক তাঁর দেখাশোনা করছিলেন তিনি এদিন ছুটিতে থাকায় দিলনওয়াজ আহমেদ খান নামে আরেক চিকিত্সককে ওই রোগীর চিকিত্সার অনুরোধ করা হয়। আসিফ খানের কাছে বাবার এর আগের চিকিত্সার কাগজপত্র চাইতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন। চলতে থাকে শাসানি।
এই ছবি কি মনে করিয়ে দিচ্ছে কয়েকমাস আগে বীরভূমের সিউড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা?
সেবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে রিভলভার হাতে তাণ্ডব চালান দলের নেতা আশিস দে।
এবারও সেই চোখরাঙানি... আরও একবার কাঠগড়ায় শাসক দল।