Suvendu Adhikari: ওঁরা কাশ্মীরকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন, নাড্ডাজি বলেছেন এখানেও বেশি সময় লাগবে না: শুভেন্দু
এই সময়ে আমলাদের হাতে শাসন ছেড়ে দিক আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুক
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির ধর্নামঞ্চে হাওড়ার অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভোট পরবর্তী অশান্তি ও হাওড়ার আশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে কী রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত? শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলার সকলের দাবিই তাই। কিন্তু বিজেপি একটা গণতান্ত্রিক দল। অমিত শাহ যখন শিলিগুড়িতে এসেছিলেন তখন বলেছিলেন, মমতাকে এক বছর সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলা শোধরায়নি। নাড্ডাজিও বলে গিয়েছেন, এ রাজ্যকে ঠান্ডা করতে বেশি সময় লাগবে না। ওঁরা ভাবছেন ওরা কাশ্মীরকে ঠিক করে দিয়েছেন। উত্তরপূর্বাঞ্চলে আজ থেকে ১০ বছর আগে অবস্থা অনেকটাই খারাপ ছিল। অসমে রোজ কত মানুষ মারা যেত। এখন তা ঠিক করে দিয়েছেন।
বিহারের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু বলেন, আমরা বিহারে লালুজির রাজত্ব দেখেছি। ১৮ জন আইনজীবী ও বিচারক মারা গিয়েছিলেন। সেইসব গুন্ডারাজ শেষে হয়ে গিয়েছে। সুকান্ত মজুমদার ও আমর সঙ্গে রাজ্য সরকার যা করেছে আমরা তা করব না।
হাওড়ার অশান্তি নিয়ে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে বলেছেন থামো থামো। এ কী মুখ্যমন্ত্রী? আর যোগী আদিত্যনাথ এমন দিয়েছে, দেখেছেন তো আপনারা। এই সময়ে আমলাদের হাতে শাসন ছেড়ে দিক আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুক। রিজওয়ানুর খুনের সময় 'আলিমুদ্দিন স্ট্রিট' ভেঙে দিচ্ছিল এরাই। আধঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিব সেনা মোতায়েন করেছিলেন। দার্জিলিংয়ে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বিমল গুরুং মন্ত্রীদের কলার ধরে তুলেছিল। ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিআরপিএফ দিয়ে দার্জিলিংকে ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছিল। এসব রাজনীতির উপরে উঠে করতে হয়। এটাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী করতে পারলেন না।
আরও পড়ুন-মিছিলে মারধরের অভিযোগ, জাতীয় মহিলা কমিশন-মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের