JU Student Death: যাদবপুরের হস্টেলে থাকতে চেয়ে উপাচার্যকে চিঠি অধ্যাপকের!
প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা যে হস্টেল থাকেন, সেই হস্টেলেরই গ্রাউন্ড ফ্লোরে রাত ১১ থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত থাকতে চান অধ্যাপক নীলাদ্রি চক্রবর্তী।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: যাদবপুরকাণ্ডের জের। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আস্থা ফেরাতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিলেন অধ্য়াপক নীলাদ্রি চক্রবর্তী। কীভাবে? প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা যে হস্টেল থাকেন, সেই হস্টেলেরই গ্রাউন্ড ফ্লোরে রাত ১১ থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত থাকতে চান তিনি। চিঠি দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যকে।
আরও পড়ুন: Zee 24Ghanta Impact: ক্যাম্পাসে ধূমপান বা মদ্যপানের বিরুদ্ধে এবার সরব যাদবপুরের ছাত্র ইউনিয়নই
সপ্তাহ দেড়েক পার। যাদবপুরকাণ্ড তোলপাড় চলছে এখনও। হস্টেলে কারা সুযোগ পাবেন? নিয়মে যখন বড়সড় বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, তখন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলেই থাকতে চান অধ্যাপক নীলাদ্রী চক্রবর্তী!
কেন? অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যকে লেখাতে চিঠি উল্লেখ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রক্ষিতে প্রথম বর্ষের অন্য পড়ুয়ার মা-বাবাদের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবসময়ই আতঙ্কে থাকছেন তাঁরা। চিঠিতে ওই অধ্যাপক লিখেছেন, 'আমিও সন্তানের বাবা। আমরা সন্তানও হস্টেলে থাকে। ফলে বাবা-মায়েদের এই চিন্তাটা বুঝতে পারছি'। উপাচার্য অনুমতি দিলে, হস্টেলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি ঘরে অভিভাবক হিসেবে থাকতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার অ্যান্টি Ragging হেল্পলাইন চালু সরকারের, জেনে নিন টোল ফ্রি নাম্বার
এদিকে যাদবপুরের হস্টেলে কারা সুযোগ পাবেন, এতদিন তা ঠিক করতেন হস্টেল বা মেস কমিটির সদস্যরা। কিন্তু এবার আর তেমনটা হবে না। তাহলে? হস্টেলের জন্য যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের কী কী যোগ্যতা বিচার করা হবে ও কোন যোগ্যতার জন্য কত নম্বর দেওয়া হবে, সেটুকুই শুধু ঠিক করবে মেস কমিটি। সেই অনুযায়ী ফর্ম ফিলাপ করতে হবে পড়ুয়াদের। সেই ফর্ম দেখে কারা হস্টেলে সুযোগ পাবেন, তা ঠিক করবেন অধ্য়াপকরা।