শহরবাসীর জন্য ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মাংস সরবারহ করতে কসাইখানা খুলছে পুরসভা

মাংস খেয়ে রোগ ব্যাধির কথা হামেশাই শোনা যায়। কারণ বহু ক্ষেত্রেই মাংস কাটার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এবার শহরবাসীর মুখে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মাংস তুলে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কেন্দ্র ও কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ট্যাংরায় তৈরি হল অত্যাধুনিক কসাই খানা। যৌথ উদ্যোগে এই তৈরি হলেও পিপিপি মডেলকেই অনুসরণ করছে পুরসভা।

Updated By: Dec 7, 2013, 07:16 PM IST

মাংস খেয়ে রোগ ব্যাধির কথা হামেশাই শোনা যায়। কারণ বহু ক্ষেত্রেই মাংস কাটার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এবার শহরবাসীর মুখে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মাংস তুলে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কেন্দ্র ও কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ট্যাংরায় তৈরি হল অত্যাধুনিক কসাই খানা। যৌথ উদ্যোগে এই তৈরি হলেও পিপিপি মডেলকেই অনুসরণ করছে পুরসভা।

ট্যাংরায় এক দশমিক আট একর জমির ওপর ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হল কলকাতার প্রথম অত্যাধুনিক কসাই খানা। ৭০% টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ৩০% টাকা দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আগামি জানুয়ারি মাসেই পিপিপি মডেলে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার শুরু হবে এই কসাই খানার। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে পুরসভা। ১২ তারিখে খোলা হবে টেন্ডার।

প্রতিদিন প্রায় ১২০০ পশুর মাংসের প্যাকেজিং হবে এখানে। থাকবে কলকাতা পুরসভার পশু চিকিত্‍সকের দেওয়া ছাড়পত্রের স্টাম্প। ছাড়পত্র ছাড়া বাজারে মাংস বিক্রি করলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতিন ঘোষ।

এতদিন শহরের পুরানো কসাই খানাগুলি চালানোর জন্য বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হত কলকাতা পুরসভাকে। পুরসভার দাবি অত্যাধুনিক এই কসাই খানা থেকে বছরে লাভ হবে অন্তত আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। ট্যাংরার এই কসাইখানার মডেলটিকে সামনে রেখেই চিতপুর, গোরাগাছা, গার্ডেনরিচ এলাকাতেও কসাই খানা খোলার পরিকল্পনা নিয়েচে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই চিতপুরে কসাই খানার জন্য মিলছে সরকারি ছাড়পত্র। গোরাগাছা এলাকা ও ট্যাংরায় আরও একটি এই ধরনের কসাই খানার জন্য ইতিমধ্যেই প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

.