দুর্নীতির কালি এবার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার গায়ে

সর্ষের মধ্যেই ভূত। ব্যাঙ্কেই কালো কারবার। দুর্নীতির কালি এবার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার গায়ে। ব্যাঙ্কের মধ্যেই ঘুঘুর বাসা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে ফের তা প্রকাশ্যে।

Updated By: Dec 24, 2016, 08:32 PM IST
দুর্নীতির কালি এবার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার গায়ে

ওয়েব ডেস্ক: সর্ষের মধ্যেই ভূত। ব্যাঙ্কেই কালো কারবার। দুর্নীতির কালি এবার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার গায়ে। ব্যাঙ্কের মধ্যেই ঘুঘুর বাসা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে ফের তা প্রকাশ্যে।

কালো টাকার কালি লাগল আরও দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গায়ে। দেশের প্রথম সারির দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখা। দুই ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ দুই কর্তাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযোগ, বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সুকৌশলে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ওই ব্যাঙ্কে।

নোট বাতিলের পর থেকেই ব্যাঙ্কগুলির লেনদেনের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ED। অভিযোগ, তদন্তকারীদের নজর এড়াতে কলকাতার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের টাকাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে।

গোয়েন্দারা নিশ্চিত, ব্যাঙ্ক কর্তাদের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া এমন উচ্চমানের দুর্নীতি সম্ভব নয়। সোমবার বেলা এগারোটার মধ্যে ২ ব্যাঙ্কের ২ কর্তাকে নথি সহ CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে।

নোট বাতিল পরবর্তী অধ্যায়ে কালো কারবারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের নাম জড়িয়ে যাওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়।

১. দিল্লির চাঁদনী চকে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শাখায় হানা দিয়ে ৪৪টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটির বেশি টাকার হদিশ পেয়েছিল আয়কর দফতর।

২. দিল্লির কাশ্মীরি গেটে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শাখায় হানা দিয়ে ৩ কেজি সোনার বাট উদ্ধার করে ইডি।

৩. কালো কারবারে গুরগাঁওয়ের DLF 2 ব্লক থেকে দুই ব্যাঙ্ক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।

৪. চণ্ডীগড়ে অবৈধ ভাবে পুরনো নোট  হাত বদল করার অভিযোগে HDFC ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজার সহ ৪ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।

৫. পঞ্জাবের ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্সের একটি শাখায় ২০ শতাংশ কমিশন দিলেই বদলে দেওয়া হচ্ছিল পুরনো নোট। তার জন্য দালালও লাগানো হয়েছিল। খবর পেয়ে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিস।

৬. পরিচয়পত্র ছাড়াই ৬ লাখ টাকা বদলে দেওয়ার অভিযোগে সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের দুই কর্তাকে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদ পুলিস। কালো টাকা সাদা করার চক্রে নাম জড়িয়েছে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক অফিসারের।

৭. বেঙ্গালুরু থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিনিয়র স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট K মিশেলকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে, ব্যাঙ্কেই কালো টাকার চাষ। তার ছোঁয়াচ এড়াতে পারেনি কলকাতাও। কালো টাকা সাদা করার অভিযোগে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বেহালা শাখার এক কর্মীর বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।

কালো তালিকায় এবার যোগ হল কলকাতার আরও দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নোটের বেআইনি লেনদেন বন্ধে আগেই ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে তারা। এবার তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে অর্থ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

.