হ্যান্ড সাইরেন বাজিয়ে মদন মিত্রকে আদালতে হাজির করল পুলিস
হ্যান্ড সাইরেন বাজিয়ে মদন মিত্রকে আদালতে হাজির করল পুলিস। সাংবাদিকরা মদনের উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করলেও সাইরেনের শব্দে শোনা যায়নি কিছুই। নারদ অস্বস্তির হাত থেকে মদন মিত্রকে বাঁচাতেই কি পুলিসের এই অতি সক্রিয়তা? প্রশ্ন উঠছে।
ওয়েব ডেস্ক: হ্যান্ড সাইরেন বাজিয়ে মদন মিত্রকে আদালতে হাজির করল পুলিস। সাংবাদিকরা মদনের উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করলেও সাইরেনের শব্দে শোনা যায়নি কিছুই। নারদ অস্বস্তির হাত থেকে মদন মিত্রকে বাঁচাতেই কি পুলিসের এই অতি সক্রিয়তা? প্রশ্ন উঠছে।
পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ আলিপুর আদালত চত্বর। মদন মিত্রকে নিয়ে আদালত চত্বরে ঢুকছে পুলিসের গাড়ি। প্রতীক্ষায় সাংবাদিকরা। প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে দেখা গেলেই ছুঁড়ে দেবেন প্রশ্ন। কিন্তু, সে গুড়ে বালি। মদন মিত্র গাড়ি থেকে নামতেই হ্যান্ড সাইরেন বাজাতে শুরু করে দিল পুলিস। সাইরেনের বিকট শব্দে মাঝপথেই হারিয়ে গেল সাংবাদিকদের প্রশ্ন। অনেকটা এমনই ছবি দেখা যেত কুণাল ঘোষের ক্ষেত্রে। সাংসদের মুখ বন্ধ করতে প্রিজন ভ্যানে দমাদ্দম শব্দ করতে দেখা যেত পুলিস কর্মীদের।
গ্রেফতারির প্রথম দিন থেকেই আদালতে হাজিরার পথে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলনের কায়দায় কথা বলতেন মদন মিত্র। দল বা তাঁর ব্যক্তিগত, একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আদালতের ঢোকা বেরোনোর মুখেই। এমনকি ভোটে লড়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন এভাবেই। বাধা দেওয়া তো দূরের কথা। এতদিন পুলিস রীতিমতো সাহায্য করত। প্রশ্ন উঠছে, কী এমন ঘটল? যাতে একধাক্কায় বদলে গেল পুলিসের ভূমিকা?
নারদ নিয়ে এই মুহুর্তে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। ফুটেজে দেখা গেছে মদন মিত্রকেও। এই পরিস্থিতিতে নারদা হুল নিয়ে প্রশ্ন অস্বস্তি বাড়তে পারে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থীর। এই অস্বস্তি ঢাকতেই কি পুলিসের অতিসক্রিয়তা? যদিও মদন মিত্র বলছেন, চারিদিকে কমিশনের লোক আছে। আমি কিছু বলব না। বেরোনোর সময়েও একই সতর্কতার সঙ্গে মদন মিত্রকে আড়াল করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিস।