Madan Mitra: 'সিনেমার সাংসদ দেবের মন্তব্যটা আসলে দাদাগিরি...' সোহমের পাশে মদন!
Madan Mitra on Soham Chakraborty: দেব গতকাল বলেন, 'সোহম অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছেলে, আমার বন্ধুও। কিন্তু বন্ধু বলেই যে তার সবটা ভালো, তেমনটা নয়।" যা নিয়ে মদনের কটাক্ষ, "দেবের মতো এরকম অনেক ছেলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা কেউ সাংসদ হতে পারেননি।"
পিয়ালি মিত্র: রেস্তরাঁ কাণ্ডে সোহমের পাশে দাঁড়ালেন মদন মিত্র। তিনি মনে করেন, সোহমের মতন ভালো ছেলে হয় না। প্রয়োজনে তাঁর হয়ে তিনি জামিন করাতে পারেন। যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু এই নিয়ে এত লাফালাফি করার কিছু নেই। পাশাপাশি, সোহমের বিরুদ্ধে দেবের মন্তব্য নিয়েও রীতিমতো তোপ দেখেছেন মদন মিত্র। তাঁর দাবি, দেব সিনেমার সাংসদ! সিনেমা না করলে কোনওদিন-ই সাংসদ হতে পারতেন না! দেবের মতো এরকম অনেক ছেলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা কেউ সাংসদ হতে পারেননি। বলেন, "তাঁকে বলব এই নোংরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকবেন না। পার্লামেন্টে যান আর সিনেমা করুন। বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব না করাই ভালো। দেবকে আমি খুব-ই পছন্দ করি। কিন্তু আমি মনে করি, দেবের মন্তব্য আসলে একটা দাদাগিরি। এটাও ঠিক না।"
প্রসঙ্গত, সোমবার সোহম নিয়ে এবার মুখ খোলেন দেব। শুধু জন প্রতিনিধি নন, যে কোনও মানুষেরই এরকম ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন ঘাটালের সাংসদ দেব। দেব বলেন, 'সোহম অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছেলে, আমার বন্ধুও। কিন্তু বন্ধু বলেই যে তার সবটা ভালো, তেমনটা নয়। আমি যেদিনই শুনেছি, সেদিনই ওকে ফোনে যা জানানোর জানিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমের সামনেও একই মত প্রকাশ করি। আমি মনে করি সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং নিয়ম মেনে চলা উচিত।' পাশাপাশি, নাম না করে সোহমকে বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। ঘটনার সূত্রপাত শনিবারে। আর রবিবারই জনপ্রতিনিধিদের নম্র হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক। এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, 'জয় নম্র ও বিনয়ী হতে শেখায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সকল নেতা ও সদস্য়দের অনুরোধ করছি জনগণ আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন তাতে ভরসা রাখুন ও সেই আস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মান জানান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের আদেশের কাছে ঋণী এবং তাদের উচিত আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা।'
কী ঘটে শনিবার? নিউটাউনের সাপুর্জির এলাকার একটি রেস্তরাঁয় শুটিং চলছিল অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রেস্তরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি। আর তারপরই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে লাথি মারেন বিধায়ক সোহম। যদিও সোহমের দাবি, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালাগালি করছিলেন রেস্তরাঁ মালিক। সেই কারণে আমিও মেরেছি।" এই ঘটনায় সোহম ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রেস্তরাঁ মালিক ও কর্মীরা। পালটা রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোহম চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন, Park Street Fire: পার্ক স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন! ফিরে এল ১৪ বছর আগের ভয়াল স্টিফেন কোর্টের স্মৃতি...
আরও পড়ুন, Bus Accident: মৌলালি মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বাসের দরজা খুলে রাস্তায় ছিটকে পড়লেন যাত্রীরা...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)