বাসভাড়ায় বিনিয়ন্ত্রণ-সুপারিশ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের

রেলের মত চরম আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে সরকারি- বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলিও। বর্তমানে দেশের ২৯ টি রাজ্যে বেসরকারি পরিবহণের ভাড়া ঠিক করে মোট ৫৪ টি স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিংস বা এসআরটিইউ। তবে নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের ক্ষেত্রে সীলমোহর লাগায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পরিবহণ দফতর।

Updated By: Mar 5, 2012, 05:49 PM IST

রেলের মত চরম আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে সরকারি- বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলিও। বর্তমানে দেশের ২৯ টি রাজ্যে বেসরকারি পরিবহণের ভাড়া ঠিক করে মোট ৫৪ টি স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিংস বা এসআরটিইউ। তবে নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের ক্ষেত্রে সীলমোহর লাগায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পরিবহণ দফতর। দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলি মুখ থুবড়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।  চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে সুপারিশ সহ একটি পূর্ণাঙ্গ রির্পোট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। রির্পোটে বলা হয়েছে গত ৫ বছরে জ্বালানি এবং কর্মীদের বেতন বাবদ পরিবহণের ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ৭২ শতাংশ। কিন্তু ভাড়া না বাড়ায় আয় বাড়েনি। তাই চলতি আর্থিক বছরে রাজস্ব খাতে ৭,৬২৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে দেশের বেসরকারি পরিবহণ।

কৃষির পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং কর্মসংস্থানমূখী শিল্পকে বাঁচাতে ভাড়াবৃদ্ধিতে বিনিয়ন্ত্রণের সুপারিশকে অবিলম্বে কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। যদিও রাজ্য সরকার রিপোর্টের কপি হাতে না আসা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে রাজি নয়। পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি, ভারতীয় সংবিধানে পরিবহণ রাজ্যের তালিকাভূক্ত বিষয়। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ তারা মানতে বাধ্য নন। একতরফাভাবে মালিকপক্ষ বেসরকারি পরিবহণ ভাড়া বাড়ালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জটিলতর আকার নেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন পরিবহণমন্ত্রী। প্রসঙ্গতঃ, ১৯৫০ সালের রোড স্ট্রান্সপোর্ট আইনে এখনও পর্যন্ত পরিবহণ রাজ্যেরই বিষয়। কিন্তু সুপারিশে এরই আমূল সংস্কার চেয়েছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। তারা পরিবহণকে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তালিকাভূক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি, পরিবহণ ভাড়া বিনিয়ন্ত্রণের পর ভাড়ায় লাগাম টানবে কে, সে প্রশ্নও উঠছে। মালিকপক্ষের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ সংস্থাগুলি ভাড়া বাড়ালে তবেই তারা বাড়া বাড়াবেন। অন্যথায় বেসরকারি বাস ছেড়ে মানুষ শুধুমাত্র সরকারি বাসেই উঠবেন। তাদের ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। এর পাল্টা হিসেবে যাত্রীস্বার্থ ক্ষুন্ন হলে প্রয়োজনে অ্যাপেক্স বডি গঠন বা আদালতের দ্বারস্থ হবার মত রাস্তা খোলা থাকছে রাজ্যগুলির হাতে। তবে সে রকম কোনও প্রস্তুতির কণামাত্রও দেখা যায়নি রাজ্য সরকারের ভূমিকায়।

.