কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিরিক্ত ও নিষ্ক্রি কর্মীদের বদলির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। গতকালই এ ব্যাপারে একপ্রস্ত বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কাদের কাজ নেই, কোথায় বাড়তি কর্মী, কোথায় অতিরিক্ত কর্মী লাগবে, এ সব কিছু জানতে চেয়ে বিভিন্ন দফতরগুলির থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

Updated By: Jul 30, 2016, 07:20 PM IST
কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ওয়েব ডেস্ক: কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিরিক্ত ও নিষ্ক্রি কর্মীদের বদলির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। গতকালই এ ব্যাপারে একপ্রস্ত বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কাদের কাজ নেই, কোথায় বাড়তি কর্মী, কোথায় অতিরিক্ত কর্মী লাগবে, এ সব কিছু জানতে চেয়ে বিভিন্ন দফতরগুলির থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরি। হেলতে দুলতে যখন খুশি আসো-যাও। সরকারি কর্মী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের এমনটাই ধারণা। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর এই ধারণা বদলাতেই উঠে পড়ে লেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। গত বিশে জুলাই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সকাল ১০:১৫-র মধ্যে অফিসে না এলে লাল কালির দাগ পড়ে যাবে। এক মাসে তিনটে লাল কালির দাগ পড়লেই কাটা যাবে একটি ছুটি।

হাজিরার কড়াকড়িতে বসছে বায়োমেট্রিক মেশিন। এরপরও সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, অনেক কর্মীই কাজ করেন না। হাজিরার কড়াকড়ি হলে তাঁদের আর কি! যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা অবশ্য বলছেন, দফতরে কাজ নেই। কাজ আসলে সেটা করে তাঁরা অন্য কিছু করেন।

কোনও সরকারি কর্মী বসে বসে যাতে মাইনে না পান, সে জন্য সব রকম উদ্যোগ নিতে অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারই স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র (কর্মী বর্গ) দফতরের সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের মোট ৬৫টি দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে, দফতরের কর্মীর সংখ্যা, কোনও বাড়তি কর্মী আছেন কিনা, কতজন নিষ্ক্রিয় কর্মী এবং কেন তাঁরা নিষ্ক্রিয়, কোনও কর্মীর কাজ না থাকলে তা জানাতেও হবে নতুন করে কর্মীর প্রয়োজন আছে কিনা।

শুক্রবারের বৈঠকে উঠে এসেছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিস সহ আরও কয়েকটি দফতর, যেখানে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক বেশি, সেখানে কর্মী সংখ্যা কম। উল্টোদিকে বেশ কিছু দফতর যেমন ত্রাণ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন ইত্যাদিতে বিশেষ সময় ছাড়া কর্মীর প্রয়োজন হয় না।

বাম আমলেও এমন তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় সেন্ট্রাল ডেয়ারি থেকে স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদেরও বদলি করা হয়। তবে কয়েকটি কর্মী সংগঠন আপত্তি তোলে। শুক্রবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, বাম আমলের তালিকা হাতে রেখেই। যে যে দফতরগুলিতে কর্মীর প্রয়োজন সেখানে অন্য দফতরের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের আপাতত বদলি করা হবে। দফতরগুলির থেকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে পাওয়ার পর হবে চূড়ান্ত বদলি।

নবান্ন সূত্রে খবর, এক মাসের মধ্যেই নতুন পে কমিশন গঠন করবে রাজ্য সরকার। তার আগে এই তালিকা পে কমিশনকে অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।

.