নাইটদের জয়ে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

নাইটদের বিজয়মিছিল, অভ্যর্থনাকে ঘিরে মঙ্গলবার মাতোয়ারা ছিল কলকাতা। হাজরায় শোভাযাত্রা শুরুর সময় থেকে জনজোয়ার নামল রাস্তায়। ইডেনে হাজার হাজার মানুষের সামনে অন্য মাত্রা পেল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।

Updated By: May 30, 2012, 11:13 AM IST

নাইটদের বিজয়মিছিল, অভ্যর্থনাকে ঘিরে মঙ্গলবার মাতোয়ারা ছিল কলকাতা। হাজরায় শোভাযাত্রা শুরুর সময় থেকে জনজোয়ার নামল রাস্তায়। ইডেনে হাজার হাজার মানুষের সামনে অন্য মাত্রা পেল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এই গোটা পর্ব থেকে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড কুড়িয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাইটদের কাপ জয়কে সুকৌশলে পরিবর্তনের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়াংখেড়ে বিতর্ককে ঘিরে মুম্বই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল শাহরুখ খানের থেকে। তাঁকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সেইসময় অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইপিএল জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন শাহরুখ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এক কথাতেই বিজয় উত্সবে সামিল হতে দুবার ভাবেননি বলিউড বাদশা। শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তাকে সুকৌশলে নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের রূপ দিয়েছেন মমতা। কাজে লেগেছে বাঙালির ক্রিকেট উন্মাদনাও। নাইটদের আইপিএল জয়কে ছোট না করেও বলা যায়, ব্যক্তি মালিকানার একটি ক্রিকেট টিমের সাফল্যকে অত্যন্ত দক্ষতায় বাংলার সাফল্যের সমার্থক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
শোভাযাত্রায় নাইটদের পতাকার সঙ্গে মিশে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকাও। মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বস্ত সেনাপতিরা নাইটদের আগলে রেখেছেন বিজয়যাত্রার পথজুড়ে। ইডেন গার্ডেন্সের দরজা অবারিত করে দেওয়া হয়েছে। আইপিএল সাফল্যকে প্রায় বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যের সমারোহে নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাইটদের সাফল্য যে সরকারের সাফল্যের সমার্থক হয়ে গিয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে এরকম একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে। আর নাইটদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালও দেদার প্রশাংসা করেছেন সরকারের। অনেকটা অভূতপূর্ব ভাবেই।
  
রাজ্যপালের এই মন্তব্যেরই কড়া সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। মঙ্গলবার বরানগরে একটি দলীয় সভায় তিনি বলেন, "রাজ্যপাল অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই তাঁর সরকারকে সার্টিফিকেট দেওয়া উচিত নয়।" তাছাড়া খেলার মঞ্চে রাজনীতির অবতারনা করায় রাজ্যপালের সমালোচনা করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান।
 
শাহরুখ খান ছিলেন ঠিকই। কিন্তু, ইডেনেও স্পটলাইট ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই। কেক কাটা থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, সবেতেই তিনিই সুপ্রিমো। রাজ্যের মানুষকে দেখালেন, তিনিই শেষ কথা। আম জনতা মাতলেন শাহরুখে। নাইটদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলেন। আর ভাবলেন সবই সম্ভব করল সরকার। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় নাগরিক কলকাতার কাছে তাঁর ইমেজ কিছুটা খারাপ হয়েছিল। পুনরুদ্ধার হল তা-ও।

.