মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭ 'ম্যাজিকাল' তথ্য

Updated By: Feb 9, 2016, 06:52 PM IST
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭ 'ম্যাজিকাল' তথ্য
ছবি:সৌরভ

৩৪ বছর বনাম একটা নাম! মমতা বন্দোপাধ্যায়। হ্যাঁ, সারা দেশে তাঁর পরিচয়, তিনি অগ্নিকন্যা। একদিকে বামেদের ৩৪ বছরের সরকার। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটানা সিপিআইএম বিরোধিতা। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, বাম বিরোধিতায় দেশের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন 'দিদি' নামেই। সেবার 'হয় এবার নয় নেভার', ময়দানে ঘণ্টা বাজিয়েও বিফলে যায় তৃণমূলের বাংলায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন। বিন্দু থেকে সিন্ধু হবার স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগিয়ে ২০১১-তে 'লেফট Left Out'। পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেখতে দেখতে গড়িয়ে গেল ৫টা বছর। মা মাটি মানুষের সরকারের নাম জড়িয়েছে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে। কখনও ত্রিফলা, কখনও টেট। সারদা নিয়ে বাম ও বিরোধীদের এককাট্টা আন্দোলনের পরেও লোকসভার ফলাফলে তৃণমূলের জয় জয়কার। তৃণমূল কংগ্রেস ১৫ থেকে সোজা ৩৪। ভোটের শতাংশ ৩৯.৩। তবে পরিসংখ্যান বলছে লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর (বিধানসভা) কেন্দ্রে পিছিয়ে।
 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে ৭ তথ্য-

২০১১-পশিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
 বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ওই কেন্দ্রে মোট ভোটের ৭৭.৭৪%। ভোট পেয়েছিলেন ৭৩,৬৩৫। প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী নন্দিনী মুখার্জি ভোট পেয়েছিলেন ১৯,৪২২। তৃণমূলের পক্ষে ভোট সুইং হয়েছিল + ১২.৯৮%। এই বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির কাছে পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন কে?
রাজনৈতিক মহলে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলির নাম প্রায়ই শিরোনামে ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে নির্দল হয়ে দাঁড়ালেও তাঁকে সমর্থন করতে পারে বাম ও কংগ্রেস।

প্রথম কবে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
সাল-১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯।
যাদবপুর লোকসভা থেকে বামপ্রার্থী সোমনাথ চট্টপাধ্যায়কে পরাজিত করে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কতদিন লোকসভার সাংসদ ছিলেন?
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ১৯৯১ থেকে ২০১১ (টানা ২ দশক) পর্যন্ত অপরাজিত সাংসদ তিনিই। বিধানসভার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে সাংসদ পদ ছেড়ে দেন তিনি। তাঁর জায়গায় ভোটে দাঁড়ান সুব্রত বক্সি। তিনিও জয়ী হন।  দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল দূর্গ হিসেবেই রাজনীতির ভূগোলে পরিচিতি পেয়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই।

 
কবে থেকে তৃণমূলে আছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়?
উত্তরটা হল ১৯৯৭। তৃণমূল দলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের নেত্রী তিনি। এখন সর্বভারতীয় সভাপতি তিনিই। এর আগে তিনি রাজ্য কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন। অবশ্য ২০১১-তে যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলের জন্ম হয়েছিল সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই বামদের পরাস্ত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের প্রথম মহিলা রেল মন্ত্রী। দু'দফায় তিনি রেল মন্ত্রী ছিলেন। একবার কয়লা মন্ত্রক ও একবার যুব, ক্রীড়া ও নারী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০১২ সালে পৃথিবীর ১০০ ক্ষমতাশীলদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। (তথ্যসূত্র-টাইম ম্যাগাজিন) ২০১৩ সালে সৎ রাজনীতিকদের তালিকায়ও তাঁর নাম প্রকাশিত হয়।  

 

.