Kolkata Fire Highlights: ট্যাংরার বিধ্বংসী আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, বিপদ কাটেনি এখনও
ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়াচ্ছে ক্রমশ। লেলিহান শিখা যেন আকাশ ছুঁয়েছে! কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। এদিন সন্ধ্যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনে একটি চামড়ার কারখানায় আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্যাংরায়(Tangra Fire) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড(Massive Fire)। ট্যাংরায় দাউ দাউ করে জ্বলছে চামড়ার গুদাম(Rexin Factory Fire)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকম(Fire-Fighters)। ঘটনাস্থলে ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছছে।
ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়াচ্ছে ক্রমশ। লেলিহান শিখা যেন আকাশ ছুঁয়েছে! কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। এদিন সন্ধ্যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনে একটি চামড়ার কারখানায় আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি খবর পাঠানো হয় দমকলে। একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ৯ ইঞ্জিন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনও ছড়িয়ে পড়েছে অনেকটাই।
এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন দমকলকর্মীরা। রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ যে, দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। আগুন কিন্তু ইতিমধ্যেই আশেপাশের বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রচন্ড তাপে ভাঙছে জানলার কাচ। এমনকী, গুদামের ছাদও যেকোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ট্যাংরার বিধ্বংসী আগুনের সমস্ত আপডেট জানুন Live-
9:58 pm: দমকল সূত্রে খবর এই মুহূর্তে আগুন আগের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় ৪ তলার সময় উঁচ্চতায় যে লেলিহান শিখা পৌঁছেছিল তা অনেকটাই কমেছে এই মুহূর্তে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা।
9:53 pm: ট্যাংরায় চামড়ার গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় রাজ্য সরকারে সমালোচনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। দমকলের এমনই অবস্থা যে সাধারণ মানুষকে বালতি করে জল এনে গাড়ি ভরতে হচ্ছে।
Major failures of West Bengal administration.
When fire broke out in Kolkata, Locals take water buckets from their houses & fill water in a fire tender after it ran out of water. I salute people's efforts. This has exposed govt's unpreparedness.
pic.twitter.com/TIottVKd4E— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) March 12, 2022
9:36 pm: ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলছেন দমকলমন্ত্রী সুজীত বসু ও দফতরে আধিকারিকদের সঙ্গে।
9:28 pm: চারদিক থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর পরিস্তিতি নেই সেখানে। ফলে আগুন নিজে থেকে না নেভা পর্যন্ত কুলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাঁচিল যাতে না ভাঙে সেই জন্য আগুনটাকে সেখানে অ্যারেস্ট রাখতে চাইছে দমকল। অর্থাৎ, দাহ্যশীল পদার্থ সম্পূর্ণ পুড়ে গেলে তখনই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। কার্যত সেই অবস্থার উপরই হাল ছাড়তে হচ্ছে দমকলকে।
9:15 pm: গুদামে ২০১২ সালের মেয়াদ উত্তির্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইসার ছিল অগ্নিনির্বাপণের জন্য। ফলে তা আগুন লাগার পর কোনও ভাবেই কাজে আসেনি। প্রশ্ন উঠছে দমকল ও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। কীভাবে এতদিন ধরে তা দেখা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
9:14 pm: দু'জন দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের চিকিৎসার জন্য এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
9:08 pm: আগুন একটু কমলেও ফের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ল। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা।
9:06 pm: আগুনের থেকে যাতে এলাকায় বড় বিপত্তি না ঘটে তার জন্য ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল।
9:05 pm: দমকলের ইঞ্জিন রিফুয়েলিংয়ের জন্য সেক্টর ফাইভ, হেডকোর্টাটার এবং ধাপা ভেড়িকে কাজে লাগানো হয়েছে।
8:57 pm: আগুনের উৎস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ওই গুদামের কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। তবে তাপ এতটাই বেশি যে আগুনের উৎস পর্যান্ত যেতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
8:50 pm: ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। গুদামের একের পর এক অংশ আগুনের গ্রাসে চলে আসছে। সেখানে নেই কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। দাহ্য পদার্থ থাকায় ক্রমেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে।
8:38 pm: আগুনের তাপ এতটাই বেশি যে ক্রমেই গুদামের দেওয়ালে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের।
8:33 pm: এলাকায় বস্তি এবং আবাসন থাকায় সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দমকলের গাড়িগুলিকে আগুনের সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আধিকারিকরা।
8:31 pm: আগুনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কথা বলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেব্যাপারে দমকল ও পুলিসের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।