শিয়ালদা বাজারে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংসের কারবার! মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে প্রক্রিয়াকরণ। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে সেই মাংস-ই পৌঁছে যাচ্ছিল হোটেল রেস্তোরাঁয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে পর্দাফাঁস হয়েছে মরা পশুর মাংসের রমরমা কারবারের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে বজবজ পুরসভার গ্রুপ-ডি কর্মী রাজা মল্লিক ও তার দুই শাগরেদকে। অন্যদিকে ভাগাড়ের মাংসের দেদার বিক্রির খবর সামনে আসার পরই এদিন শহরের বিভিন্ন রেস্তরা ও বাজারে হানা দিলেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। চলল নমুনা সংগ্রহের পালা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে প্রক্রিয়াকরণ। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে সেই মাংস-ই পৌঁছে যাচ্ছিল হোটেল রেস্তোরাঁয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে পর্দাফাঁস হয়েছে মরা পশুর মাংসের রমরমা কারবারের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে বজবজ পুরসভার গ্রুপ-ডি কর্মী রাজা মল্লিক ও তার দুই শাগরেদকে। অন্যদিকে ভাগাড়ের মাংসের দেদার বিক্রির খবর সামনে আসার পরই এদিন শহরের বিভিন্ন রেস্তরা ও বাজারে হানা দিলেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। চলল নমুনা সংগ্রহের পালা।
আরও পড়ুন, বিরোধীদের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট খারিজ করল আদালত
মৃত্যুর পর মরা পশুর দেহ ফেলা হয় ভ্যাটে। অভিযোগ, ভাগাড়ের সেই মরা পশুর মাংস-ই পৌছে যাচ্ছিল হোটেল রেস্তোরাঁয়। এই কারবার দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছিল বজবজ পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী রাজা মল্লিক। দিনকয়েক ধরেই বিষয়টি নজরে পড়ছিল এলাকার মানুষের। বৃহস্পতিবার বজবজ পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে ভ্যাটের সামনে গাড়ি নিয়ে আসে রাজা ও গাড়ির চালক শ্যামলাল। মরা পশু তুলে গাড়ি তোলার সময় এলাকার মানুষই হাতে নাতে ধরে ফেলেন তাঁদের। দুজনকে আটকে রাখা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, নিমাই ও শ্যামলালকে নিয়ে মরা পশুর মাংসের এই কারবার চালাত রাজা-ই।
পুলিস জানিয়েছে, শিয়ালদা বাজারের বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সাহায্যেই মরা পশুর মাংসের রমরমা কারবার ফেঁদে বসেছিল রাজা মল্লিক। ভাগাড়ে মরা পশু এলেই খবর চলে যেত রাজা মল্লিকের কাছে। তাঁর কাছ থেকে খবর পেত নিতাই ও শ্যামলাল। তারপর সেই মরা পশুর মাংস প্রক্রিয়াকরণের পর চালান করে দেওয়া হত। বজবজ থেকে শিয়ালদা বাজারে আসত মরা পশুর মাংস। শিয়ালদা বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা তাজা মাংসের সঙ্গে সেই মাংস মিশিয়ে বিক্রি করতেন ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন, মনোনয়ন যুদ্ধ জিতে আধাসেনার দাবিতে ফের আদালতে বিজেপি
এই খবর সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। একদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিস যেমন তত্পর হয়েছে, তেমনই বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁয় খাবারের গুণমান ঠিক থাকছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযানে নেমেছে পুরসভা।