আগেভাগে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ঠিক বিকেল ৪টেয় শনিবার রাজভবনে মোদী-মমতা বৈঠক

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন মমতা। 

Updated By: Jan 10, 2020, 10:41 PM IST
আগেভাগে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ঠিক বিকেল ৪টেয় শনিবার রাজভবনে মোদী-মমতা বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে একমঞ্চে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। তার আগে শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের সময় নিয়ে একটা জল্পনা চলছিল। রাজভবনে ঠিক ৪টের সময় মোদী-মমতা বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে বিরোধীদের ডাকা বৈঠকে মমতা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বৈঠকটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

কী বিষয়ে আলোচনা তা এখনও জানা যায়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরা হবে মোদীর কাছে। খুব বেশি কথা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত কর্মসূচি রয়েছে। এদিন মোদী-মমতা সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, উনি সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে সভায় অনুপস্থিত থেকে এই বার্তাই  প্রধানমন্ত্রীকে দেবেন, "আমি বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরালাম"।

দিল্লিতে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন,''বনধের নামে গুন্ডামি করেছে বাম-কংগ্রেস। ওদের সঙ্গে দিল্লিতে মিটিং করব না।'' এরপরই তাঁর সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ করে বাম ও কংগ্রেস। সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ধর্মঘট সফল হওয়ার পর সম্ভবত দিল্লির বসেদের কাছে বকা খেয়েছেন। সেজন্য বিরোধী দলের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন,''ওঁর জন্য দিল্লিতে বৈঠক আটকাবে না।  মমতা থাকলেন না থাকলেন না যায় আসে না। ছাত্র সমাজ ও শিক্ষাসমাজ জড়িয়ে গিয়েছে। কেউ চায় না আইন কার্যকর হোক। গোটা ভারতে বনধ করেছি। এখানে করব না? ওনার বলে দেওয়া কায়দায় বনধ করতে হবে? মুখে যা বলছেন, কাজে তা করছেন না।'' 

আরও পড়ুন- মোদী যেখানে নিঃশ্বাস নেবে, সেই বাতাসে শ্বাস নেব না, বিক্ষোভে নামছে বাম ছাত্র-যুব

.