KLO Surrender Policy: কামতাপুরীদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে নয়া কেএলও আত্মসমর্পণ নীতি
সূত্রের খবর, এই নীতি অনুযায়ী কেএলও নেতা-কর্মীরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের চাকরি, ঘরবাড়ি তৈরি সহ একগুচ্ছ সুবিধা দেবে সরকার।
সুতপা সেন : মাওবাদী (Maoist) সমস্যা মেটাতে তৈরি হয়েছিল মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ নীতি (Maoist Surrender Policy)। এবার কামতাপুরীদের (Kamtapuri) জন্য রাজ্য তৈরি করছে কেএলও আত্মসমর্পণ নীতি (KLO Surrender Policy)। কেএলও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতেই এই নীতি তৈরি করছে সরকার।
সূত্রের খবর, এই নীতি অনুযায়ী কেএলও নেতা-কর্মীরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের চাকরি, ঘরবাড়ি তৈরি সহ একগুচ্ছ সুবিধা দেবে সরকার। নীতি তৈরি। এবার মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সম্ভবত আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকেই নয়া এই কামতাপুরী আত্মসমর্পণ নীতি নিয়ে আলোচনা হবে। মন্ত্রিসভা নয়া নীতিকে অনুমোদন দিলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তা ঘোষণা করবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন কেএলও নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে চেয়ে আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত, 'কামতাপুরে পা দেবেন না', উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও প্রধান। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এক ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্য সরকারকে একাধিক বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও প্রধান।
ওই ভিডিয়ো বার্তায় জীবন সিং বলেন, "কোচবিহারের ভারতভূক্তির চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহারকে 'গ' শ্রেণিভুক্ত রাজ্য হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা। তাই পশ্চিবঙ্গ সরকারের কোচ কামতাপুরের উপরে কোনও সাংবিধানিক অধিকার থাকে না। কোচবিহারের মানুষ বৃহত্তর কামতাপুর রাজ্য গঠন করবে। এখানকার মানুষ তার নিজের ভাগ্য নিজেরাই ঠিক করবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলছি কোচ কামতাপুরের পা দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি তার অধিকার কামতাপুরের উপরে চাপিয়ে দেয় তাহলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে।"
এদিকে একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ভিডিয়ো বার্তায় হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন কে এল ও প্রধান, তখন অন্যদিকে রাজ্য সরকার নয়া কেএলও আত্মসমর্পণ নীতি বলবৎ করার ভাবনা। সবমিলিয়ে যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন, Kalna Accident, Shocking Video: ভাগীরথীতে তলিয়ে গেল লরি, জলের ৩০ ফিট গভীরে 'আটক' চালক-খালাসি!