কীভাবে খুন করা হয়েছিল জয়ন্তীকে? পুলিসের হাতে হাড় হিম করা তথ্য

শিয়ালদা স্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার হয় জয়ন্তীর ছিন্ন ভিন্ন মৃত দেহ। তদন্তে নেমে পুলিসের সামনে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্য কর তথ্য। কী করে কারা খুন করল জয়ন্তী দেবকে ? তদন্তে উঠে এসেছে হাড় হিম করা তথ্য।

Updated By: May 26, 2014, 11:54 PM IST

শিয়ালদা স্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার হয় জয়ন্তীর ছিন্ন ভিন্ন মৃত দেহ। তদন্তে নেমে পুলিসের সামনে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্য কর তথ্য। কী করে কারা খুন করল জয়ন্তী দেবকে ? তদন্তে উঠে এসেছে হাড় হিম করা তথ্য।

ট্রলি ব্যাগে থেকে যাওয়া ক্যাশমেমোর সূত্র ধরেই রহস্যের জট খোলে পুলিস। টুকরো টুকরো করা ব্যাগ বন্দি মহিলার দেহ। মৃতদেহের মুখও অ্যাসিডে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই খুনের রহস্য ভেদ করতে রীতিমতো ধন্দে পড়েছিল পুলিস। তবে সূত্র হিসেবে হাতে আসে ট্রলি ব্যাগে থেকে যাওয়া একটি ক্যাশমেমো। সেখান থেকেই জয়ন্তী দেবের নাম ঠিকানা পায় পুলিস। তবে বাড়ি গিয়ে দেখা যায় তালা বন্ধ। সেখান থেকেই জয়ন্তীর স্বামী সুরজিতের অফিসের সন্ধান পায় পুলিস।

যদিও প্রথমে গোটা বিষয়টিই পুলিসের কাছে অস্বীকার করে সুরজিত্। উল্টে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা তুলে পুলিসকে বিভ্রান্ত করেছিল সে। এমনকি মেয়েকে সুরজিত জানায়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স থেকে পালিয়েছেন তার মা। কিন্তু সুরজিতের এই চালাকি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। জয়ন্তীর মেয়েই মায়ের দেহ সনাক্ত করে। এর পরেই পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে সুরজিত্। জেরায় পুলিস জানতে পারে রীতিমতো ঠান্ডা মাথায় ছক করেই সে খুন করেছিল স্ত্রীকে।

জয়ন্তী সুরজিতের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। কিন্তু লেকটাউনের ফ্ল্যাটটি ছাড়েননি জয়ন্তী। প্রেমিকা লিপিকাকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটেই সংসার পাতার ইচ্ছা ছিল সুরজিতের। পথের কাঁটা জয়ন্তীকে সরাতে তাই লিপিকাকে সঙ্গে নিয়ে খুনের ছক করে সে। স্ত্রীর কাছাকাছি আসার নাটক শুরু হয়। আঠারো তারিখ মেয়েকে নিয়ে সুরজিত্ জয়ন্তীর লেকটাউনের ফ্ল্যাটে আসে। সেই রাতেই সুযোগ বুঝে কাজ হাসিল করে সুরজিত।

.