প্রেসিডেন্সিতে মাঝপথে বন্ধ হল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান

প্রেসিডেন্সির কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।

Updated By: Jan 11, 2019, 11:57 PM IST
প্রেসিডেন্সিতে মাঝপথে বন্ধ হল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেসিডেন্সির একদল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্সি চত্বরে প্রকাশ্যে স্বামীজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চলছিল অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানটিই মাঝপথে বন্ধ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।                           

প্রেসিডেন্সির কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল বেশ কয়েকজন বক্তাকে। প্রকাশ্যেই প্রেসিডেন্সির চত্বরে চলছিল অনুষ্ঠান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আমন্ত্রিত অধ্যাপক দেবাশিস চৌধুরী বক্তব্যে উঠে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), মার্ক্সবাদ, মাওবাদ প্রসঙ্গ। আধুনিক প্রজন্ম বিবেকানন্দের গুরুত্বের কথাও স্মরণ করান তিনি। ঠিক তখনই প্রেসিডেন্সির একদল পড়ুয়া বাধা দেয় বলে অভিযোগ। অধ্যাপক দেবাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, 'ছাত্রছাত্রীদের গোটা বক্তব্যটি শুনতে অনুরোধ করি। কিন্তু ওরা ঘেরাও করে'। বাংলা বিভাগের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁদের চেষ্টাতেই অতিথিরা নিরাপদে বেরিয়ে যান। 

ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোয়ালিশন (আইসি)-র সায়ন চক্রবর্তী দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক ও বিভেদমূলক মন্তব্য করেছেন বহিরাগতরা। এই ধরনের মন্তব্য শুনতে পারবেন না প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। অতিথিদের ঘেরাওয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সায়ন। তাঁর কথায়, ''এটা মিথ্যা অভিযোগ। আমরা ওদের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলি। স্বামী বিবেকানন্দের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্সি। স্বাধীনচেতা ও মুক্তচিন্তার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়''। তবে প্রশ্ন উঠছে, স্বাধীনচেতা ও মুক্তচিন্তার অঙ্গনে বিরুদ্ধমত শোনার মতো সহিষ্ণুতা নেই? 

আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে গা ঝাড়া দিল সিঙ্গুর, হাইকোর্টে মামলা চাষিদের

পরে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অভিযোগ তুলে মিছিল বের করেন আইসি ও এসএফআইয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি প্রেসিডেন্সির স্বাধীন কণ্ঠস্বর রোধ করতে চাইছে। প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোনও তরফেই অনুষ্ঠানের জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি।  
      

.