প্রোমোটারের থাবায় এইভাবেই কী হারিয়ে যাবে এলাকার পুরনো স্কুল?
স্কুল নেই। হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে খান খান করা হয়েছে ক্ষুদে পড়ুয়াদের স্বপ্ন। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে মোমরঙে আঁকা ছবি। ব্ল্যাকবোর্ড, স্কুলের বেঞ্চি, টেবিল ভেঙে খানখান। ভাঙা হয়েছে স্কুল ঘরের ছাদ। স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়াদের একটাই দাবি, দুষ্টু প্রোমোটারের শাস্তি চাই।
ওয়েব ডেস্ক: স্কুল নেই। হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে খান খান করা হয়েছে ক্ষুদে পড়ুয়াদের স্বপ্ন। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে মোমরঙে আঁকা ছবি। ব্ল্যাকবোর্ড, স্কুলের বেঞ্চি, টেবিল ভেঙে খানখান। ভাঙা হয়েছে স্কুল ঘরের ছাদ। স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়াদের একটাই দাবি, দুষ্টু প্রোমোটারের শাস্তি চাই।
ব্ল্যাক বোর্ডে মোম রঙে আঁকা ছবি। পূব আকাশে সূয্যি মামার হাসি। কচি কাঁচাদের কল্পনার রঙিন জগত্ প্রোমোটারের গ্রাসে। রাতের অন্ধকারে ভেঙে দেওয়া হয়েছে স্কুল।
আরও পড়ুন
মাকেও বিষ দিয়েই খুনের প্ল্যান ছিল উদয়নের!
ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো। ভাল স্কুল হিসাবেই এলাকায় যথেষ্ট সুনাম। মাত্র একশো টাকা বেতন দিয়ে পড়ার সুযোগ পান ছাত্রছাত্রীরা। অনেকেই দিতে পারেন না বেতন। সে জন্য পড়াশুনা আটকায়নি কখনও। শুক্রবারও স্কুল করে বাড়ি ফিরেছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। শনিবার সকালে সব ওলোটপালট। রাগে, দুঃখে, অভিমানে ক্ষুদেদের চোখে জল।
স্বপ্ন। অনেক স্বপ্ন। এই চার দেওয়াল থেকেই সেই স্বপ্নের দল আকাশ ছোঁয়। হাতুড়ির ঘায়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে সেই সব স্বপ্ন। স্কুল ভেঙে ধ্বংসস্তূপ। ছড়িয়ে আছে নিলর্জ্জ লোভের কিছু প্রমাণ। প্রোমোটারের থাবায় এইভাবেই কী হারিয়ে যাবে এলাকার পুরনো স্কুল? প্রশ্ন বাসিন্দাদেরও।