ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে, শুরু হয়েছে বৃষ্টি, কন্ট্রোল রুম খুলছে রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও। সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বোকরাবনি, পেটুয়া, নয়াগ্রাম, সন্দেশখালি সহ বেশকয়েকটি গ্রাম।  ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় দু হাজার মানুষ। ক্যানিং মহকুমা প্রশাসনের তরফে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের রাখা হয়েছে স্থানীয় একটি ত্রাণশিবিরে। বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কয়েশো বিঘা জমি এবং মাছের ভেড়ি।

Updated By: Oct 11, 2014, 07:21 PM IST
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে, শুরু হয়েছে বৃষ্টি, কন্ট্রোল রুম খুলছে রাজ্য

ওয়েব ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও। সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বোকরাবনি, পেটুয়া, নয়াগ্রাম, সন্দেশখালি সহ বেশকয়েকটি গ্রাম।  ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় দু হাজার মানুষ। ক্যানিং মহকুমা প্রশাসনের তরফে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের রাখা হয়েছে স্থানীয় একটি ত্রাণশিবিরে। বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কয়েশো বিঘা জমি এবং মাছের ভেড়ি।

এদিকে, হুদহুদ মোকাবিলায়  বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিশেষ এই কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যেই একটি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।  আরও একটি টিমকে  প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাপ্রশাসনগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।  মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রচুর পরিমান ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর একাংশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা পুরসভার পাম্পিং বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে।

ধেয়ে আসছে হুদহুদ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার প্রহর গুণছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুরের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং ওড়িশার গোপালপুরের মাঝামাঝি এলাকায় একশো আশি কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে হুদহুদ। এর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, বিজয়নগরম ও শ্রীকাকুলাম জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ভারী বৃষ্টি ও প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে পূর্ব এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলাতেও। চ্যালেঞ্জের মুখে ওড়িশা সরকারও। মালকানগিরি, কোরাপুট, নবরঙ্গপুর, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জা, কালাহান্ডি এবং কন্দমাল জেলায় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

.