Primary Teacher Recruitment: টেট অনুত্তীর্ণ ৩৬ জনকে প্রাথমিকে চাকরি, সিবিআই রিপোর্টে আরও বিপাকে মানিক
Primary Teacher Recruitment: পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা টেটে পাসই করেননি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১ জন, মুর্শিদাবাদের ২৬ জন, বীরভূমের ১৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যারা যোগ্যতামানের নম্বরই পাননি। এমনই বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে
অর্নবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার আরও বিপাকে পড়লেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রাথমিকে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য থাকাকালীন ওই দুর্নীতির হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন-ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ, নিরাপত্তা দিতে হবে পরিবারকে
তদন্ত করতে গিয়ে সাল উল্লেখ করে সিবিআই জানিয়েছে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুবার পর্ষদ সভাপতি হিসেবে মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিকে নিয়োগে যত দুর্নীতি হয়েছে তা মানিক ভট্টাচার্যই করেছেন। উর্দু মাধ্য়মের ২ চাকরিপ্রার্থী যারা বাংলা মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তাদেরও বাংলা মাধ্যমের স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা, কোচবিহার, পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা টেটে পাসই করেননি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১ জন, মুর্শিদাবাদের ২৬ জন, বীরভূমের ১৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যারা যোগ্যতামানের নম্বরই পাননি। এমনই বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পর্যদের আরও অনেক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। জেরা করা হয় সচিব রত্ন বাগচী চক্রবর্তীকেও। তিনি জানিয়েছেন তিনি শুধু সাক্ষর করেছেন। তার নির্দেশ দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সবার বয়ান পেলেও মানিক ভট্টাচার্যের বয়ান একেবারে উল্টো। অন্যান্য অভিযুক্তেদের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের বয়ান মিলছে না। কিন্তু বিতর্কিত প্রার্থীদের তালিকায় তত্কালীন সচিবের সাক্ষর রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই রিপোর্ট জমা পড়া নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তদন্ত সংস্থা তদন্ত করছে। কিন্তু জনমনে প্রতিষ্ঠিত যে চাকরি চড়া দামে বাজারে বিক্রি হয়েছে। চল্লিশ হাজার নিয়োগ হয়েছে। ওএমআর শিট প্যাকেটে পাওয়া গিয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড প্রমোটারের অফিসে পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে আর কি মানুষের মনে কোনও প্রশ্ন উঠতে বাকী রয়েছে? তদন্ত যত এগোবে ততই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা বাড়বে।
পর্ষদে একছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিক ভট্টাচার্যের। কিন্তু অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের বয়ানের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাত্ মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কিন্তু বাকীদের বয়ানের অনুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।