কলকাতায় আসলেই খেতেন ফুচকা, বাজপেয়ীর জন্মদিনে তাই গোলগাপ্পা পার্টি বিজেপির
কলকাতায় পরিচিতের বাড়িতেই ডাকতেন ফুচকাওয়ালাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করতেন জনসঙ্ঘ। পরে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা হয়েও নিরামিষ নয়, বরং আমিষ খাবারই পছন্দ করতেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কবিতা লিখতে ভালবাসতেন, আর ভালবাসতেন ফুচকা। এতটাই যে জনশ্রুতি লখনৌয়ের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ফুচকা খেয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, কলকাতার ফুচকাও পছন্দ করতেন বাজপেয়ী। তাঁর জন্মদিনে তাই ফুচকা খেয়ে উদযাপন করলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা।
সংসার করেননি বাজপেয়ী। তবে শুধুই রাজনীতিই করতেন না, কবিতাও লিখছেন। আর সঙ্গে চলত চুটিয়ে খাওয়াদাওয়াও। খেতে বড্ড ভালবাসতেন। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তাঁর মায়ের হাতের মালপো খেয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী। নিজে রান্নাও করতেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছিল বাজপেয়ীর। রাজনীতির জগতেও তাই তিনি অজাতশত্রু। কলকাতায় যখনই আসতেন, থাকতেন সিআর অ্যাভিনিউয়ে এক পরিচিতের বাড়িতে। ঘনেশ্যাম বেরিওয়ালার বাড়ির উপরের তলায় থাকতেন। সাংসদ হওয়ার পর বাড়ির সকলের সঙ্গে খোশগল্প জুড়ে দিতেন। এমনকি চা করেও খাইয়েছিলেন বাড়ির সদস্যদের। আর বাড়িতে ডেকে নিতেন ফুচকাওয়ালাকে। সবাই মিলে চলত ফুচকা খাওয়া।
এমন মানুষের জন্মদিন ফুচকা ছাড়া কি উদযাপন করা যায়? রাজ্য বিজেপির দফতরের তাই বসল ফুচকার স্টল। রাহুল সিনহা, সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়রা ফুচকা খেলেন। তাতে দলের কর্মীরাও যোগ দেন।
গেরুয়া রাজনীতির মুখ হয়েও বাজপেয়ী ছিলেন আলাদা। আর সে কারণে সংসদে নিঃসঙ্কোচে ঘোষণা করতে পারেন,''আমি অবিবাহিত তবে ব্রহ্মচারী নই।'' কিংবা কলকাতায় একই দিনে তিন বার রেখার 'উমরাও জান' দেখে ফেলতে পারেন। প্রবল মোদী-শাহের জমানাতেও আজও তাই বিজেপির দরকার পড়ে অজাতশত্রু অটলবিহারী বাজপেয়ীকে।
আরও পড়ুন- CAA বিরোধিতার জের? জমিয়েত উলেমার সিদ্দিকুল্লাহকে ভিসা দিল না বাংলাদেশ সরকার