মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার নয়, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারই লক্ষ্য তৃণমূলের

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি জানাতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সাংসদরা।

Updated By: Nov 6, 2011, 10:26 PM IST

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি জানাতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রাথমিক ভাবে এমনই খবর ছিল মিডিয়ার কাছে। কিন্তু সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা দিল্লি আসার পরই 'অন্য ইঙ্গিত' মিলল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানালেন, শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই, একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র। যার ফলে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের অন্যতম বড় শরিকদল অসন্তুষ্ট। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, সেই ক্ষোভের কথাই জানাবেন তৃণমূলের সমস্ত সাংসদ। অর্থাত্‍ জনগণের উপর থেকে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে ৭ রেসকোর্স রোডের বাসিন্দার কাছে আবেদন জানান নয়, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সহযোগীতা বৃদ্ধির বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার, মধ্যরাত থেকে ফের বেড়েছে পেট্রোলের দাম। শুক্রবার, এই ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদরা বৈঠকে বসেন। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তাঁরা সরে আসার কথা বললেও বিরত করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন। চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনে, দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়বে সরকার। এক্ষেত্রে,  জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূলকে পাশে দরকার কংগ্রেসের। আবার, রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দরকার কেন্দ্রীয় সাহায্য। তৃণমূলের চাপ সত্বেও, নজিরবিহীনভাবে জি-টুয়েন্টি বৈঠক চলাকালীন ফ্রান্সের কানে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী পেট্রোপণ্যের বিনিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পেট্রোপণ্যের দাম তেল সংস্থাগুলির হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই পরিস্থিতিতে আম-জনতার কাছে ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তৃণমূলের কৌশলী চাপে, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোপণ্যের দাম কমায় কিনা, সেদিকেই প্রাথমিক নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের মন্তব্য স্পষ্টতই অন্য ইঙ্গিতবাহী।

.