এখনও অপেক্ষা প্রত্যাশার শীতের
পুজোর শেষ থেকেই হাল্কা শীতের আমেজ ছিল শহর মফ্ফসলে। গত বছরের মত এ বছরও জাঁকিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল শীত। তবে একের পর এক ঘুর্ণাবর্ত,নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে আটকে গিয়েছে উত্তুরে হাওয়া।
পুজোর শেষ থেকেই হাল্কা শীতের আমেজ ছিল শহর মফস্বলে। গত বছরের মত এ বছরও জাঁকিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল শীত। তবে একের পর এক ঘুর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে আটকে গিয়েছে উত্তুরে হাওয়া। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও সর্ব্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। ফলে প্রত্যাশিত শীত যে পড়ছে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজ্যে, বিশেষ করে কলকাতায় শীতের কটা মাস তো হাতের কড়েই গোনা যায়। এবার অবশ্য অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এবং নভেম্বরের গোড়াতেও ছিল শীতের আমেজ চুটিয়ে উপভোগ করার হাতছানি। কিন্ত বাধ সেধেছে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বরাবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। একের পর এক ঘুর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে আটকে গিয়েছে উত্তুরে হাওয়া। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও সর্ব্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। ফলে অভ্যেসমাফিক শীত যে এবারের মতো হাতছাড়া তা বলাই বাহুল্য।
বাতাসে বাষ্পের পরিমান অতিরিক্ত হওয়ায় সোমবার কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্রই খোলা জায়গায় দৃশ্যমানতা ছিল কম। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় শীতটা যে এক্কেবারে মাটি! আর তাই এবছরের মতো শীতের মরশুমে জমিয়ে উপভোগ করার সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ রাজ্যবাসী।