DA: সোম-মঙ্গলবার অফিসে না এলে কড়া পদক্ষেপ, নির্দেশিকা জারি করে সরকারি কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি নবান্নর
ওই নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোনও স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপের মাধ্যমে কোনও গণতান্ত্রকি আন্দোলনকে ঠেকানো যায়নি। তাহলে ইন্দিরা গান্ধী হারতেন না
সুতপা সেন: রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কর্মচারীদের একাংশের দাবি, ৩ শতাংশ ডিএ-তে চিঁড়ে ভিজবে না, মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ। সেই ডিএ আদায়ের দাবিতে আগামী সোম ও মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালনের কথা ঘোষণা করেছে সরকারী কর্মচারীদের একাংশ। এবার এর পাল্টা নির্দেশিকা জারি করে ওই দুদিন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-রেণুকার পাঁচ উইকেট, রিচার দুরন্ত লড়াইও ম্লান! শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ওই পেন ডাউন কর্মসূচিতে সামিল হতে পারেন কেন্দ্রের কর্মীরাও। এর বিরুদ্ধে শনিবার রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ১৭ ফেব্রুায়ারির আগে থেকে মেটারনিটি লিভ, মেডিক্যাল লিভের মতো ছুটি নিয়ে থাকেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় হবে। বাকী অন্য কারও ক্ষেত্রে কোনও ছুটি গ্রাহ্য হবে না। যারা ওই দুদিন পেন ডাউনে অংশ নেবেন তাদের চাকরি জীবনে ১ দিন ছেদ পড়বে এবং তাদের শো কজ করা হবে। পাশাপাশি তাদের এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাজ বন্ধ করা যাবে না।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেন ডাউন কর্মসূচি ঠেকাতে বনধের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোনও স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপের মাধ্যমে কোনও গণতান্ত্রকি আন্দোলনকে ঠেকানো যায়নি। তাহলে ইন্দিরা গান্ধী হারতেন না, জরুরি অবস্থা উঠে যেত না। দেশে সরকারের কোনও বদল হতো না। সরকার প্রতারিত করেছে। আদালতের বিরুদ্ধে গিয়েও সরকার সময় নিচ্ছে। যারা লাখ লাখ টাকা পাবেন তারা কি একদিনের ছুটি কাটা যাবে বা বেতন কাটা যাবে বলে কি থেমে যাবেন?
অন্যদিকে, এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শদাতা আধিকারিকরা কতটা অপদার্থ তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। সরকার নাকি ওদের ছুটি কেটে নেমে। কর্মচারীরা তো বনধ ডাকেনি। তারা অফিসে যাবে কিন্তু কাজ করবে না। পেন ডাউন। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কর্মচারীদের ডিএ তাদের নাহ্য অধিকার। মানুষের টাকা লোপাট করেছে। মানুষ ততার প্রতিবাদ করছে।