'কমিটির সদস্যরা BJP ঘনিষ্ঠ', NHRC-র রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের

হাইকোর্টে হলফনামা পেশ রাজ্যের। 

Updated By: Jul 27, 2021, 10:25 AM IST
 'কমিটির সদস্যরা BJP ঘনিষ্ঠ', NHRC-র রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য়। সেই হলফনামায় বিস্ফোরক অভিযোগ করল সরকার। কমিটির সদস্যদের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অভিযোগ করল। কীভাবে ওই রিপোর্ট নিরপেক্ষ হতে পারে? তা নিয়ে হলফনামায় প্রশ্ন তুলল রাজ্য়।

রাজ্যের বিরুদ্ধে তোলা কমিটির যাবতীয় অভিযোগ নস্যাত করে আদালতে হলফনামা পেশ করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। হলফনামায় রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যদের কয়েকজন বিজেপিঘনিষ্ঠ। তাঁদের উপর কেন্দ্রের প্রভাব রয়েছে। তাঁদের থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। সেক্ষেত্রে কমিটির সদস্যদের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে, তাঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগ সামনে আনা হয়েছে। রাজীব জৈনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিজেপি সরকারের আমলে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এমনকী যখন নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনও তিনি আহমেদাবাদের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। আতিফ রশিদের নামে করে বলা হয়েছে, তিনি বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেলের দায়িত্বে ছিলেন। এমনকী দিল্লির পুরভোটে বিজেপির হয়ে লড়াইও করেছেন।

আরও পড়ুন:ভুয়ো IAS-এর পর কলকাতা পুলিসের জালে Fake IPS, উদ্ধার অস্ত্র, গ্রেফতার রক্ষী ও চালক

আরও পড়ুন: স্ক্রিনশট-সহ ফেসবুকে পোস্ট, হ্যাকারের খপ্পরে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা Vivek Sahay

রাজুলবেন দেশাই সম্পর্কে হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গুজরাটে বিজেপির 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পের ইনচার্জ ছিলেন তিনি। রাজ্যের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্পূর্ণ ভুল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রমান ছাড়া অনুমানের ভিত্তিতে ৩৪২৮ পাতার রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। যেখানে একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের অপরাধী বলা হয়েছে। অথচ কীসের ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছে, তার কোনও প্রমান উল্লেখ করা হয়নি।

এখানেই শেষ নয়, ওই কমিটির ক্ষমতা নিয়েও হলফনামায় প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কমিটিকে শুধুমাত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। কমিটি কোনও সুপারিশ দিতে পারে না। এখানে কমিটি CBI-কে দিয়ে তদন্ত করানোর সুপারিশ দিয়েছে। যেটা এক্তিয়ার বহির্ভূত। কমিশনিরে নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোট-পরবর্তী অশান্তির জন্য রাজ্যের পরিকাঠামো দায়ি। সেই অভিযোগ উড়িয়েছে রাজ্য়। উল্টে রাজ্যের দাবি, পুলিশ এবং প্রশাসনের সম্মানহানি করতেই এই রিপোর্ট। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসন অশান্তি মোকাবিলায় সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে।

.