আদালতের গোটা ঘটনা জানুন
মদন মিত্রের জামিনের আর্জি নিয়ে আদালত কক্ষে তুমুল বাগবিতণ্ডা বিচারক ও সিবিআইয়ের আইনজীবীর। কেস ডায়েরি না থাকায় শুনানি পিছনোর আর্জি জানায় সিবিআই। আর্জির ভাষা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারক বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে জানানোর হুমকি দেন। সিবিআইয়ের যুক্তিতে অখুশি বিচারক এরপর মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর করেন। পাল্টা সিবিআইয়ের অভিযোগ, একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।
ওয়েব ডেস্ক: মদন মিত্রের জামিনের আর্জি নিয়ে আদালত কক্ষে তুমুল বাগবিতণ্ডা বিচারক ও সিবিআইয়ের আইনজীবীর। কেস ডায়েরি না থাকায় শুনানি পিছনোর আর্জি জানায় সিবিআই। আর্জির ভাষা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারক বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে জানানোর হুমকি দেন। সিবিআইয়ের যুক্তিতে অখুশি বিচারক এরপর মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর করেন। পাল্টা সিবিআইয়ের অভিযোগ, একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।
দিনের শুরু থেকেই আদালতকক্ষে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিচারক এবং সিবিআইয়ের আইনজীবী। দিনের শুরুতে সিবিআই জানায় তদন্তকারী অফিসার আসতে পারেননি। মামলার শুনানি ছুটির পর পিছিয়ে দেওয়া হোক। মধ্যাহ্নভোজের পর IOকে হাজির হতে বলেন বিচারক।
দ্বিতীয় দফায় বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি শুরু হলে , বিচারক পি পি দাস, জানতে চান সিবিআইয়ের আইনজীবী কোথায়?সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত বলেন, অপেক্ষা করুন IO আসছেন।
তিনটে কুড়ি নাগাদ সিবিআইয়ের অন্য আইনজীবী অঙ্কুশ সরকার আসেন। বলেন, স্যার আমাদের আবেদন, আমাদের কাছে কেস ডায়েরি নেই। মামলা স্থগিত করে দেওয়া হোক। ছুটির পর মামলা শোনা হোক।
বিচারক বলেন, সিবিআই বলেছিল আঠাশ তারিখ কেস ডায়েরি পেশ করবে। চোদ্দোই সেপ্টেম্বর আপনাদের কাছে সব তথ্য পাঠিয়ে দেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তারপরেও আপনারা প্রস্তুতি নিলেন না কেন? আমরা IO-র জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করি। কিন্তু তাঁরা আসেন না। আমি বুঝতে পারছি না, কেন অকৃতকার্য হল সিবিআই। দুর্ভাগ্যজনক সিবিআইয়ের আইনজীবী কথাই রাখতে পারলেন না। কেন আদালতকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী?
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই আদালতে আমার সিনিয়র আইনজীবী মামলা করতে চাইছেন না।
মদন মিত্রর আইনজীবী বলেন, উনি আপনাকে অসম্মান করছেন। কীভাবে এমন কাজ করতে পারেন?
বিচারক সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেন, প্রথমার্ধে বলেছেন IO আসেননি। কেস ডায়েরির কথা বলেননি। পিটিশনে আদালতের উদ্দেশে প্রিডিটারমাইন্ড আনডিউ হেস্ট শব্দ ব্যবহার করেছেন কীভাবে এই মন্তব্য করলেন? সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হয়ে কীভাবে এইকথা বলতে পারেন? এর অর্থ কী? সুপ্রিম কোর্টে এই রিপোর্ট পাঠাব। এখনই সিদ্ধান্ত নেব। খোলাখুলি সবার সামনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বন্ধ দরজার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিইনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আর কে বাগের রায়েরও উল্লেখ করেছেন, এর অর্থ কী?
মদন মিত্রর আইনজীবী অশোক মুখার্জি বলেন, আমার মক্কেলকে বারোই ডিসেম্বর দুহাজার চোদ্দো থেকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। জামিনের শর্তে উনি মন্ত্রীত্ব ছাড়তেও রাজি। সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস সত্ত্বেও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
বিচারক জিজ্ঞেস করেন সিবিআইয়ের কিছু বলার আছে কিনা। সিবিআই বলেছিল IO নেই। কেস ডায়েরি নেই বলেনি।
বিচারক বলেন, IO কি কেস ডায়েরি নিয়েই চলে গেছেন?
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্তকারী অফিসার তালা বন্ধ করে চলে গেছেন।
বিচারক বলেন, তাহলে সকালে একথা বলা হল না কেন? IO আসেননি মনে করিয়েছেন, অথচ কেসডায়েরি নেই বলেননি।
এরপর রায় দেওয়া শুরু করেন বিচারক---
দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিবিআই আইনজীবী তাঁর কথা রাখতে
পারেননি। তিনি প্রথমার্ধে সময় চান। সেই সময় দেওয়া হয়। তাসত্ত্বেও কিছু অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। আদালতের উদ্দেশে প্রিডিটারমাইন্ড আনডিউ হেস্ট শব্দ ব্যবহার করেন। এ শুধু বিচারককে হুমকি নয় গোটা বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি প্রদর্শন। সাড়ে ১২টার সময়, তিনি বারবার বলতে থাকেন, IO অনুপস্থিত কিন্তু কেস ডায়েরি যে তাঁর কাছে
নেই সেকথা বলেননি।
মদন মিত্রর উদ্দেশে বলেন এটা সত্যি উনি মন্ত্রী। প্রভাবশালী সন্দেহ নেই। তাঁর অপরাধ গুরুতর এবং বিশাল। এটা ,সম্পূর্ণভাবেই একটা আর্থিক অপরাধ। যা তথ্যমূলক প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল। কোনও জনপ্রিয়তার দ্বারা প্রভাবিত নয়। আমানতকারীদের উদ্দেশ্য এখনও পূরণ হয়নি। প্রভাবশালী এই তকমা কিন্তু প্রশ্ন তৈরি করে। কিন্তু অনেক মামলায় আমরা দেখি, অভিযুক্ত যিনি তিনি জেলের মধ্যে থাকলেও বাইরে অপরাধ হয়েছে। সিবিআই যে হস্তক্ষেপের কথা বলছে, সেটা কোনওমতেই টিকছে না। তাই আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করা হল। জেলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই মদন মিত্রকে। শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হল।
দ্বিতীয় ব্রেকে বিচারক পি পি দাস, জানতে চান সিবিআই আইনজীবী কোথায়।
আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন আইনজীবী আসছেন। কে রাঘবচারুলু
তিনটে কুড়ি নাগাদ সিবিআইয়ের অন্য আইনজীবী অঙ্কুশ সরকার আসেন। স্যার আমাদের আবেদন, আমাদের কাছে কেস ডায়েরি নেই। মামলা স্থগিত করে দেওয়া হোক। ছুটির পর মামলা শোনা হোক।
বিচারক বলেন, আঠাশ তারিখ বলেছিল সিবিআই, কেস ডায়েরি পেশ করবে চোদ্দোই স্পিটেম্বর আপনাদের কাছে সব তথ্য পাঠিয়ে দেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তারপরেও আপনারা প্রস্তুতি নিলেন না। আমরা আইওর জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করি। কিন্তু তাঁরা আসেন না। আমি বুঝতে পারছি না, কেন অকৃতকার্য হল। দুর্ভাগ্যজনক সিবিআইয়ের আইনজীবী কথাই রাখতে পারলেন না। কেন আদালতকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই আদালতে আমার সিনিয়র আইনজীবী মামলা করতে চাইছেন না।
মদনের আইনজীবী বলেন, উনি আপনাকে অসম্মান করছেন। কীভাবে এটা করতে পারেন।
বিচারক বলেন, প্রথমার্ধে বলেছেন আইও আসেননি। সিডির কথা বলেননি। পিটিশনে প্রিডিটারমাইন্ড আনডিউ হেস্ট ... কীভাবে এই এই মন্তব্য করলেন। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হয়ে কীভাবে এইকথা বলতে পারেন। এর অর্থ কী...সুপ্রিম কোর্টে এই রিপোর্ট পাঠাব। এখনই নিজেই সিদ্ধান্ত নেব। খোলাখুলি সবার সামনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কোনও বন্ধ দরজার মধ্যে সিদ্দান্ত নিইনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আর কে বাগের রায়েরও উল্লেখ করেছেন, এর অর্থ কী।
অশোক মুখার্জি বলেন, আমার মক্কেলকে বারোই ডিসেম্বর দুহাজার চোদ্দো থেকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। জামিনের শর্তে উনি মন্ত্রীত্ব শর্তেও রাজি। সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস সত্ত্বেও আদালত ছাড়েনি। জামিন দেওয়া হোক।
বিচারক জিজ্ঞেস করেন সিবিআইয়ের কিছু বলার আছে কিনা। সিবিআই জানায় IO নেই। কেস ডায়েরি নেই বলেনি।
বিচারক বলেন, IO কি কেস ডায়েরি নিয়েই চলে গেছেন?
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্তকারী অফিসার তালা বন্ধ করে চলে গেছেন।
বিচারক বলেন, তাহলে সকালে একথা বলা হল না কেন? IO আসেননি মনে করিয়েছেন, অথচ কেসডায়েরি নেই বলেননি।