'শান্তিশিষ্ট ভালোমানুষটা' কিডনি চক্রের চাঁই! স্তম্ভিত পাড়া প্রতিবেশী

সেলুনে গিয়ে পাঁচশো টাকা বকশিস। চাঁদা চাইলেই দু-পাঁচ হাজার। বাড়ি তো নয় যেন প্রাসাদ। কিডনি কারবারের টাকায় আক্ষরিক অর্থেই সে রাজারহাটের রাজকুমার। পাড়ায় শান্তশিষ্ট ভালো লোক বলেই পরিচিত ছিল সে। প্রতিবেশীরা ঘূণাক্ষরেও বোঝেননি রাজকুমার কিডনি চক্রের কিংপিন। রাজকুমার পুলিসের জালে ধরা পড়ার পর বাগুইআটি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে তাঁর ঘনিষ্ঠ দীপক কর।

Updated By: Jun 8, 2016, 09:36 PM IST
'শান্তিশিষ্ট ভালোমানুষটা' কিডনি চক্রের চাঁই! স্তম্ভিত পাড়া প্রতিবেশী

ওয়েব ডেস্ক : সেলুনে গিয়ে পাঁচশো টাকা বকশিস। চাঁদা চাইলেই দু-পাঁচ হাজার। বাড়ি তো নয় যেন প্রাসাদ। কিডনি কারবারের টাকায় আক্ষরিক অর্থেই সে রাজারহাটের রাজকুমার। পাড়ায় শান্তশিষ্ট ভালো লোক বলেই পরিচিত ছিল সে। প্রতিবেশীরা ঘূণাক্ষরেও বোঝেননি রাজকুমার কিডনি চক্রের কিংপিন। রাজকুমার পুলিসের জালে ধরা পড়ার পর বাগুইআটি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে তাঁর ঘনিষ্ঠ দীপক কর।

কীভাবে কাজ করত রাজকুমার?

আদতে হায়দরাবাদের বাসিন্দা তিপুরানা রাজকুমার রাওকে জেরা করে পুলিসের হাতে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস জানতে পেরেছে, একসময়ে টাকার জন্য রাজকুমার নিজের কিডনি বিক্রি করে। পরে সে নিজেই কিডনি পাচার চক্রের কিংপিন বনে যায়। রাজকুমারের অধীনে থাকা এজেন্টরা জেলায় জেলায় ঘুরে ডোনার খুঁজে বের করে। ডোনার পাওয়া গেলে কলকাতাতেই তাঁর প্রাথমিক মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে নিত রাজকুমার। পরীক্ষায় পাশ করলে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনারকে পাঠিয়ে দেওয়া হতো দিল্লি বা দক্ষিণ ভারতের বেসরকারি হাসপাতালে। বহু ক্ষেত্রে নাম ভাঁড়িয়ে ভারতে আসা অসুস্থ বিদেশি নাগরিকদের দেহে প্রতিস্থাপিত হতো এ রাজ্যের গরিব মানুষের কিডনি। বেআইনি কিডনির কারবারে রাজকুমার কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে বলে পুলিসের অনুমান।

রাজকুমারের সাম্রাজ্য

বছর তিনেক আগে স্ত্রী-ছেলে নিয়ে রাজারহাটের শিবতলায় থাকতে শুরু করে রাজকুমার। সম্প্রতি সেই বাড়ির কাছেই আরও একটি পুরনো বাড়ি কেনে সে। কয়েকলক্ষ টাকা খরচ করে প্রাসাদোপম সেই বাড়িতে তৈরি হয় বিলাসী জীবনের নানা ব্যবস্থা। গৃহপ্রবেশ আর বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার প্রতিবেশিদের নিমন্ত্রণ করে রাজকুমার। ভোজের আসরেই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।

যদিও, সোমবারই হায়দরাবাদে সরে পড়ার চেষ্টা করেছিল সে। রাজকুমার এবং সন্তোষ রাওয়ের নামে বিমানের টিকিট কাটা হয়। দিল্লি পুলিসের কাছে খবর পেয়ে দমদম বিমানবন্দরে দুজনের ছবি দিয়ে হুলিয়া জারি হয়। রাজকুমারকে জেরা করে জ্যাংড়ার বাসিন্দা দীপক করের খোঁজ পায় পুলিস। দীপকও কিডনি কারবারে রাজকুমারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে।

.