বিজয়া দশমী কোন 'বিজয়'কে চিহ্নিত করে? জেনে নিন আজকের দিনের তাত্পর্য
দশমীর আগে 'বিজয়া' শব্দটি ব্যবহার করা হয় কেন? কোন বিজয়কেই বা এটি চিহ্নিত করে?
নিজস্ব প্রতিবেদন : এ বছরের মতো শেষ দুর্গাপুজো। চার দিনের আনন্দের শেষে আজ বিজয়া দশমীতে বিষাদের সুর বাঙালির মনে। কিন্তু দশমীর আগে 'বিজয়া' শব্দটি ব্যবহার করা হয় কেন? কোন বিজয়কেই বা এটি চিহ্নিত করে?
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে শ্বশুরবাড়ি কৈলাসে পাড়ি দেন দেবী দুর্গা। সেই দিনই বিজয়া দশমী পালন করেন মর্ত্যবাসী। এই দিনই প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। পুরাণে মহিষাসুর বধের কাহিনী অনুযায়ী, মহিষাসুরের সঙ্গে টানা ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করেন দেবী দুর্গা। শ্রীচণ্ডীর কাহিনী অনুযায়ী সেই এক টানা যুদ্ধের পর শুক্লা দশমীতে দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই যুদ্ধে জয়লাভকেই চিহ্নিত করে বিজয়া দশমী।
আরও পড়ুন: মন খারাপের বিজয়া দশমীতে শুরু সিঁদুর খেলা, আবারও ৩৮০ দিনের অপেক্ষায় বাঙালি
তবে, বিজয়া দশমীর দিন উত্তর ও মধ্য ভারতে আরেকটি উত্সব পালিত হয়, যার নাম দশেরা। তবে, বিজয়া দশমীর সঙ্গে এর তাত্পর্যে কোনও মিল নেই। দশেরা শব্দের উত্পত্তি সংস্কৃত শব্দ দশহর থেকে। এই দশহর রাবণের মৃত্যুকে চিহ্নিত করে। রামায়ণ অনুসারে আশ্বিন মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে রাবণ বধ করেছিলেন রাম। রামায়ণের এই কাহিনীও আজকের দিনের তাত্পর্য বৃদ্ধি করে।
অন্য দিকে এই দিনের তাত্পর্য উল্লেখিত রয়েছে মহাভারতেও। ১২ বছর অজ্ঞাতবাসের শেষে আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে পাণ্ডবরা শমীবৃক্ষে তাঁদের লুকানো অস্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং ছদ্মবেশ ছেড়ে নিজেদের প্রকৃত পরিচয় ঘোষণা করেন।