দুবাইয়ের উড়ন্ত গাড়ি

মন করে উড়ু উড়ু। আচ্ছা বলুন তো, কার করে না? তা এমন বাঁধনহারা যদি আপনিও হতে পারেন, তাহলে কেমন হয়? না না। পাখনা গজিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা হচ্ছে না। কিন্তু যদি আপনার গাড়িই পথে নয়, আকাশে ওড়ে? ভাবছেন, পাগলের কাজকারবার। আবোল-তাবোল খেয়াল। তবে মনে রাখবেন, স্বপ্নও কিন্তু সত্যি হয়।   

Updated By: Feb 16, 2017, 11:53 PM IST
দুবাইয়ের উড়ন্ত গাড়ি

ওয়েব ডেস্ক: মন করে উড়ু উড়ু। আচ্ছা বলুন তো, কার করে না? তা এমন বাঁধনহারা যদি আপনিও হতে পারেন, তাহলে কেমন হয়? না না। পাখনা গজিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা হচ্ছে না। কিন্তু যদি আপনার গাড়িই পথে নয়, আকাশে ওড়ে? ভাবছেন, পাগলের কাজকারবার। আবোল-তাবোল খেয়াল। তবে মনে রাখবেন, স্বপ্নও কিন্তু সত্যি হয়।   

ছবির মতো সুন্দর। যা বর্ণনায় কোনও বিশেষণ,... উপমা খাটে না। স্বপ্নের মতো। বা স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর। চোখ জুড়ানো। মন ভরানো। এমনই পিকচার পারফেক্ট দুবাই। সেখানকারই এ আশ্চর্য-কথন। একটা চার চাকা গাড়ি। তবে পথেঘাটে চলছে না। আসলে চলছেই না। এ গাড়ি উড়ছে। দুবাইয়ের নয়া স্পেশালিটি। যাত্রীবাহী উড়ন্ত গাড়ি।

আরও পড়ুন- 'প্রেমে লিঙ্গ কোনও বাধা নয়', অঙ্গ বদলে জয় পেল মাধুরী

ই-হ্যাং ১৮৪, এই উড়ন্ত গাড়িটি চিনা মডেলের প্রতিরূপ। প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম এই গাড়ি। মাটি থেকে এক হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে। উড়ন্ত গাড়িটি রিচার্জ করা যায় মাত্র দু ঘণ্টায়। টানা ৩০ মিনিটের পথ সহজেই পাড়ি দিতে পারে এই বিশেষ গাড়ি। এটি ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম। চিনা ড্রোন নির্মাণকারী ই-হ্যাং সংস্থা তৈরি করেছে উড়ন্ত গাড়ি। এবছর জুলাই থেকেই সম্ভবত দুবাইয়ের আকাশে দেখা যাবে যাত্রীবাহী উড়ন্ত গাড়ি

মোবাইলে ট্যাক্সি বুক করার দিনকালকেও পিছনে ফেলে, এ হল আল্ট্রা মডার্ন যুগ। কাজ সেরে, ব্যাগটি গুছিয়ে পৌছে বাইরে আসামাত্র, আকাশ থেকে নেমে আসবে আপনারই স্পেশাল বাহন। কোনও ড্রাইভারের বালাই নেই। সওয়ারিই শেষ কথা। এজন্য যে বিশেষ মগজমারি করতে হবে, তাও নয়।

গাড়িতে রয়েছে ব্যাগ রাখার আলাদা জায়গা। গাড়িতে বসার পর শুধু গন্তব্য বেছে নিয়ে তা সিলেক্ট করলেই টেক অফ প্রক্রিয়া শুরু। যে পথে গাড়ি উড়ে যাবে এবং কোথায় নামবে, সেই রুট ঠিক করে দিতে হবে। সামনে রাখা কম্পিউটার স্ক্রিনেই হাতের ছোঁয়ায় হাসিল সব কাজ। উড়ন্ত গাড়িটি নিয়ন্ত্রিত হবে রিমোটের মাধ্যমে, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে। গাড়িটিতে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর।

দুবাইয়ের ভয়ঙ্কর গরমে যাতে গাড়ির উড়ানে সমস্যা না হয়, সেজন্য এতে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। পর্যটক টানতে ওস্তাদ দুবাইয়ে, এ এক নয়া আশ্চর্য আকর্ষণ। বুর্জ খলিফার শহরে, মন টানার আরেক পথ। বিশ্বের দীর্ঘতম টাওয়ার থেকে, উড়ি উড়ি বাড়ির দিকে পাড়ি দেওয়ার রোমাঞ্চ, সে কী কখনও মুখে প্রকাশ করা যায়!

.