যন্ত্রণায় কষ্ট পেলে সঙ্গীর হাত ধরুন
নিমেষে কষ্ট কমিয়ে দিতে পারে সঙ্গীর হাত। না, এটা শুধুমাত্র প্রেম বা ভালোবাসার ক্ষেত্রে নয়। যখন আপনি খুব কষ্টে রয়েছেন কিংবা আপনার প্রিয়জন খুব যন্ত্রণায় রয়েছেন, তাহলে সঙ্গীর হাত ধরুন। দেখবেন, আপনার যন্ত্রণা, কষ্ট অনেক কমে গিয়েছে। হ্যাঁ, এমনটাই বলছে গবেষণা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিমেষে কষ্ট কমিয়ে দিতে পারে সঙ্গীর হাত। না, এটা শুধুমাত্র প্রেম বা ভালোবাসার ক্ষেত্রে নয়। যখন আপনি খুব কষ্টে রয়েছেন কিংবা আপনার প্রিয়জন খুব যন্ত্রণায় রয়েছেন, তাহলে সঙ্গীর হাত ধরুন। দেখবেন, আপনার যন্ত্রণা, কষ্ট অনেক কমে গিয়েছে। হ্যাঁ, এমনটাই বলছে গবেষণা।
আরও পড়ুন : অফিসের অযৌক্তিক চাহিদা ভারতীয় কর্মীদের ৬ ঘণ্টারও কম ঘুমোতে বাধ্য করছে: তথ্য
সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, কষ্ট, যন্ত্রণার সময়ে সঙ্গীর ভরসার হাত কমিয়ে দিতে পারে কষ্টের পরিমাণ। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয় এটা? ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাঁরা এই বিষয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যখন আমরা আমাদের সঙ্গীর সঙ্গে মনের কথা, কষ্ট, যন্ত্রণার কথা ভাগ করে নিই, তখন আমাদের মস্তিষ্কে এক প্রকার তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। যা সেই কষ্ট, যন্ত্রণাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য স্পর্শ দারুণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জায়া গিয়েছে, গবেষকরা ২৩ থেকে ৩২ বছর বয়সী বেশ কয়েকজন জুটির মধ্যে ১ বছর ধরে একটি সমীক্ষা চালান। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, কষ্ট, যন্ত্রণার সময়ে যে ব্যক্তি সঙ্গীকে স্পর্শ না করে তাঁর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, তাঁদের তুলনায় যে ব্যক্তি তাঁর সঙ্গীর হাত স্পর্শ করে এবং আলাদাভাবে সময় কাটিয়েছেন, তাঁর কষ্ট অনেক কমে গিয়েছে। জার্নালে জানানো হচ্ছে, স্পর্শ করা মাত্রই ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কে এক প্রকার তরঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে, যা স্পর্শ না করলে হচ্ছে না। সমীক্ষা শেষে তাই গবেষকদের পরামর্শ, সঙ্গীকে কষ্ট পেতে দেখলে শুধু তাঁর সঙ্গে কথা না বলে, তাঁর হাত ধরুন। তাঁকে স্পর্শ করুন।
আরও পড়ুন : দিনে ১টা সিগারেটেই বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি