ভারতে বাঘ সুমারির পদ্ধতি ভুলে ভরা, দাবি গবেষকদের
বাঘ সহ অনান্য বন্য প্রাণীদের সুমারির জন্য ভারতে সাধারণত যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তা নিতান্তই ভুলে ভরা। যার ফলে এদেশের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয় এবার সেই সব তথ্যই প্রশ্নের মুখে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইএসআই -এর যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ভারতে বন্য প্রাণী গণনার জন্য বহুল ব্যবহৃত 'ইনডেক্স-ক্যালিব্রেশন' পদ্ধতিটির ভুল ত্রুটি।
ওয়েব ডেস্ক: বাঘ সহ অনান্য বন্য প্রাণীদের সুমারির জন্য ভারতে সাধারণত যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তা নিতান্তই ভুলে ভরা। যার ফলে এদেশের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয় এবার সেই সব তথ্যই প্রশ্নের মুখে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইএসআই -এর যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ভারতে বন্য প্রাণী গণনার জন্য বহুল ব্যবহৃত 'ইনডেক্স-ক্যালিব্রেশন' পদ্ধতিটির ভুল ত্রুটি।
গবেষক দলটি এই ক্যালিব্রেশন ইনডেক্সকে খতিয়ে দেখতে একটি ম্যাথেমেটিকাল মডেল তৈরি করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন ডেটার উপর ভিত্তি করে, বিভিন্ন মান এই ইনডেক্সে বসিয়ে তার দক্ষতা খতিয়ে দেখাই এই মডেলের মূল লক্ষ্য ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ইনডেক্সের এফিসিয়েন্সির অভাব দেখা গেছে। এই ইনডেক্সের গণনা ক্ষমতাও দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে।
এরপর গবেষক দলটি বাঘ সুমারির ফিল্ডওয়ার্ক ডেটার উপর ভিত্তি করে বাঘের সংখ্যা এই ইনডেক্সের মাধ্যমে নির্ণয়ের চেষ্টা করেছে। ফলাফল অত্যন্ত অবিশ্বাস্য এসেছে। এই ইনডেক্স যে ডিগ্রির সাফল্য দেখিয়েছে তা একেবারেই বাস্তন সম্মত নয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ গবেষণা ইউনিটের বিজ্ঞানী ও এই গবেষণা পত্রের মূল লেখক অর্জুন গোপালস্বামী জানিয়েছেন মাত্র ১০% অনিশ্চয়তা থাকলেই ভুল ভাল রেসাল্ট দেখায় ইনডেক্স ক্যালিব্রেশন।
গত কয়েক বছর ধরে এই 'ইনডেক্স-ক্যালিব্রেশন' পদ্ধতির মাধ্যমেই ভারতে বাঘ সুমারি করা হয়েছে। তাতে বারবার বলা হয়েছে এদেশে নাকি ক্রমবর্ধমান বাঘের সংখ্যা। কিন্তু এই গবেষণা পত্র প্রকাশ পাওয়ার পর এবার প্রশ্নের মুখে ভারতে বাঘের আসল সংখ্যাটাই।