দিনে হোক বা রাতে, আজ ডিমের ডালনাই চাই পাতে
সকালের জলখাবার থেকে নৈশভোজ... সর্বত্র বিরাজমান ডিম। আজ পাতে থাক সুস্বাদু ডিমের ডালনা...
ডিম পছন্দ করেন না, এমন মানুষের তালিকাটা বোধহয় খুব একটা দীর্ঘ হবে না। সকালের জলখাবার থেকে নৈশভোজ... সর্বত্র বিরাজমান ডিম। অমলেট, ভুজিয়া বা সেদ্ধ, যে ভাবেই রান্না করুন, ডিম সহজেই উপাদেও হয়ে ওঠে নিজ গুণে। আজ রইল জিভে জল আনা অসাধারণ একটি ডিমের পদ, ডিমের ডালনা। ডিমের ডালনা সব বাঙালি বাড়িতেই রান্না হয়। রান্না করাটাও খুবই জহজ। তাও একবার ঝালিয়ে নিতে পারেন ডিমের ডালনার সহজ রেসিপি।
আরও পড়ুন: ঘরেই বানিনে নিন রেস্তোরাঁর মতো চিলি গার্লিক মাসরুম
ডিমের ডালনা বানাতে লাগবে:—
সিদ্ধ ডিম: ৬টা
ধনেপাতা কুচি: একমুঠো
আলু: ২টো মাঝারি সিদ্ধ (অর্ধেক করা কাটা)
পেঁয়াজ: মাঝারি মাপের ২টো (অর্ধেক কাটা)
টোম্যাটো: মাঝারি মাপের ২টো
রসুন: ৪-৫ কোয়া
আদা: আন্দাজ মতো
কাঁচা লঙ্কা: ৩-৪টে
ছোট এলাচ: ৪টে
লবঙ্গ: ৩-৪টে
দারচিনি স্টিক: ১টা বড়
হলুদ গুঁড়ো: ৩ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
সর্ষের তেল: ৩ টেবল চামচ
আরও পড়ুন: চটজলদি রেঁধে নিন মুখোরোচক এগ ভিন্ডালু
ডিমের ডালনা বানানোর পদ্ধতি:—
পেঁয়াজ, টোম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা, আদা, রসুন এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। সামান্য নুন ও হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে নিন ডিম ও আলুতে। পারলে ধারাল ছুরি দিয়ে ডিম আর আলু ২-৩টি জায়গায় চিরে নিন।
কড়াইতে বা প্যানে তেল গরম করে ডিম ও আলু সোনালি করে ভেজে তুলে নিন। ডিম, আলু তুলে ওই তেলেই ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ-টোম্যাটো বাটা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে ও তেল ছাড়তে শুরু করলে ভাজা আলু ছেড়ে দিন। ফুটতে শুরু করলে হলুদ, লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন।
মিনিট দশেক পর ঢাকনা খুলে ডিমগুলো ছেড়ে দিন। হালকা আঁচে ৪-৫ মিনিট রেখে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এ বার রান্নার উফর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। ব্যস, এ বার ভাত, পরোটা বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মুখরোচক ডিমের ডালনা।