ভুঁড়িওয়ালা পুরুষদের সঙ্গেই প্রেম করতে চান মহিলারা, বলছে সমীক্ষা

ছবি: ফ্যামিলি গাই কার্টুনের পিটার ও লুইস। গোলগাল পিটারকেই ভালোবাসে লুইস।

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজেকে আকর্ষণীয় করতে অনেক পুরুষই নিয়মিত জিমে যান। অনেক মহিলাই পুরুষদের একটু মেদহীন চেহারা পছন্দ করেন। কিন্তু বর্তমানে অনেকটাই বদলাচ্ছে সেই ভাবনা। অনেক মহিলাই পুরুষ সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি গ্রুমড বা সুঠাম চেহারা পছন্দ করছেন না। ভুঁড়ি আছে এমন পুরুষদের প্রতিই ইদানিং বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন মহিলারা। এমনটাই বলছে সমীক্ষা। 

ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরির একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে অল্প ভুঁড়িওয়ালা পুরুষদেরই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন বেশিরভাগ মহিলা। হালকা গোলগাল ও সাধারণ চেহারার মধ্যেই নিরাপত্তা খুঁজে পান তাঁরা। গবেষকদের মতে, বেশি সুঠাম দেহের পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে পারেন কেউ কেউ। সেই কারণেই একটু গোলগাল চেহারাই পছন্দ তাঁদের। 

জিম করা সুঠাম দেহ রাখার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ওয়ার্ক আউট ও পরিমিত ডায়েট। সিনেমার পর্দায় অভিনেতারা সেই দেহ পেতে কড়া নিয়মের মধ্যে জীবনযাপন করেন। কিন্তু, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী যদি এতটাই নিয়ম মেনে চলতে থাকেন, সেক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলাদের দাবি, "এটা খাব না, সেটা খাব না, মোটা হয়ে যাব... এই ধরনের কথা বলা পুরুষের থেকে অল্প মোটা পুরুষই ভাল।" 

তবে, এর পেছনে বিবর্তন ও যুগেরও প্রভাব আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ড্যাডবড- বা অল্প মোটা দেহকে মেয়েরা কেন এখন বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে ব্যাখ্যা। অল্প স্থুল পুরুষদের কাজের প্রতি বেশি মনযোগী বলে মনে করেন মহিলারা। পরিবারকেও বেশি সময় দেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে বেশি নিরাপদ বোধ করেন তাঁরা। 

নিজের বডি ইমেজ নিয়ে চিন্তিত মহিলারা একটু ভুঁড়িওয়ালা পুরুষই পছন্দ করেন। এর একটা বড় কারণ মোটা পুরুষদের পাশে বেশি রোগা লাগে মহিলাদের। আর সেই কারণেই পুরুষরা একটু ভুঁড়িওয়ালা হলেই তাঁরা বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে করেন। 

তবে, মহিলারা ভুঁড়িওয়ালা পুরুষ পছন্দ করেন শুনে পুরুষরা বেশি করে বিরিয়ানি, আইস্ক্রিম খাওয়া শুরু করবেন না। কারণ মোটা নয়, হালকা ভুঁড়িই পছন্দ, যাকে হাল ফ্যাশানে ড্যাডবড বলা হয়। এক ফ্যাশান ব্লগারের মতে ড্যাডবড সেই পুরুষেরই থাকে, যিনি মাঝে মাঝে জিমেও যান, আবার সপ্তাহে একদিন-দুদিন ইচ্ছেমতো পিত্জাটা খেতেও দ্বিধাবোধ করেন না। সেরকম 'পরোয়া করি না' অ্যাটিটিউটই পছন্দ মহিলাদের।