World Food Safety Day: কীভাবে টাটকা-তাজা রাখবেন খাবার? রইল কয়েকটি টিপস...
খাদ্য নিরাপত্তা প্রত্যেকের দায়িত্বের মধ্য়ে পরে এবং আমাদের সবাইকে এই কাজটা করা উচিত। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য় খুবই গুরুত্বপূর্ণ
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং খাদ্যবাহিত বিপদ শনাক্ত ও প্রতিরোধ করতে প্রতি বছর ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস পালন করা হয়। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ এই দিনটি পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল।
আরও পড়ুন: Week 10 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | স্নব-জব!
খাদ্য নিরাপত্তা বা যেটাকে ফুড সেফটি বলা হয়, তার একটা অন্য দিকও আছে। আমরা বাড়িতে যে খাবারদাবার ব্যবহার করি, তারও নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সোজা কথায়, ঘরে কী ভাবে খাবার তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়-- সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখা। কয়েকটি সহজ পন্থা অনুসরণ করে আমরা অনায়াসে খাদ্যজনিত অসুস্থতার হাত থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারি। এখানে রইল কয়েকটি টিপস।
১.পরিচ্ছন্নতা:
আপনার রান্নাঘরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। রান্নার আগে এবং খাবার পরিবেশনের আগে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।
২. কাঁচা ও 'পাকা' খাবারে ভেদাভেদ:
ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে খাবার রক্ষা করতে কাঁচা এবং রান্না করা খাবার আলাদা রাখাটা খবুই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং সবজির জন্য আলাদা প্লেট বা পাত্র ব্যবহার করুন।
৩. খাবার ভালো পাক:
সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করলে খাবারে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণু মরে যায়। এতে আমাদের অসুস্থতার বিপদটা কমে। কম রান্না করা বা কাঁচা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
৪. খাদ্য সংরক্ষণ:
ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমাতে উপযুক্ত তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ জরুরি। নষ্ট হওয়া খাবারগুলি ঘরের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রেখে দেওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। আর খাবার যাতে আদতেই না নষ্ট হয় সেজন্য রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: মিথুনের কাজ, কর্কটের আর্থিক চাপ; কেমন কাটবে আপনার দিন?
৫. নজরে থাক এক্সপায়ারি:
খাদ্যপণ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখগুলি সব সময় খেয়াল রাখুন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সেই সব খাবার খেয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। মেয়াদ পেরিয়ে গেলে খাবারে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পায়, খাবারের পুষ্টিগুণ কমে। এর কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। খাবারের অপচয় বন্ধ করতে হবে।
৬. স্যানিটাইজিং:
ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বাসনপত্র, কুকিং ওয়্যার বা কুকিং অ্যাকসেসরি নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। এজন্য গরম জল, সাবানজল ব্য়বহার করুন।