অযোধ্য মামলা থেকে বরিষ্ঠ আইনজীবী রাজীব ধবনকে সরিয়ে দিল জমিয়ত
ধবন জানিয়েছে ওরা বলছে অসুস্থ থাকার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। একথা একেবারেই মিথ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। এবার রায় পুনর্বিবেচনার সেই প্রক্রিয়া থেকেই মামলার অন্যতম মুখ্য আইনজীবী রাজীব ধবনকে সরিয়ে দিল জমিয়ত।
আরও পড়ুন-টাকা লুঠ করতেই খুন, নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ীর দেহ
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছেন ধবন। তিনি লিখেছেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার যে কারণ দেখানো হয়েছে তা একেবারেই ঠুনকো। বুঝতে পারছি না ওদের সমস্যা কোথায়। কিন্তু আমাকে যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা সত্যি। ওরা বলছে অসুস্থ থাকার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। একথা একেবারেই মিথ্যে।
উল্লেখ্য, সোমবার অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। জমিয়তের পক্ষে অযোধ্যা মামলায় লড়াই করছিলেন আইনজীবী ইজাজ মকবুল। তাঁর অধীনেই কাজ করছিলেন ধবন। বরিষ্ঠ আইনজীবী তাঁর ফেলবুক পোস্টে জানিয়েছেন, আমাকে যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিচ্ছি। অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনা মামলায় আমি আর কোনওভাবেই যুক্ত নই।
Advocate Rajeev Dhawan (who appeared for Sunni Waqf Board & other Muslim parties in Ayodhya case) on being sacked from Ayodhya case: I don't know what were their compulsions but they confirmed to me it was a sacking. Now they are saying that I was sick & unavailable, it is a lie. https://t.co/WzldL8xduw pic.twitter.com/lLltOLmbQ5
— ANI (@ANI) December 3, 2019
Advocate Rajeev Dhawan (who appeared for Sunni Waqf Board & other Muslim parties in Ayodhya case) writes on social media: Just been sacked from Babri case by advocate-on-record Ejaz Maqbool who was representing Jamiat. Have sent formal letter accepting the 'sacking' without demur pic.twitter.com/pUNrhBmup5
— ANI (@ANI) December 3, 2019
বেশ কয়েক বছর ধরেই অযোধ্যা মামলায় সওয়াল করছেন রাজীব ধবন। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে লড়াই করেছিলেন তিনি। ফলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়াতে চাপে পড়ে গিয়েছে জমিয়ত। এনিয়ে ইজাজ মকবুল বলেন, জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি রাজীব ধবনের নাম দিতে পারিনি কারণ ওঁকে পাওয়া যায়নি। এটা বড় কোনও বিষয় নয়। রাজীব ধবনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বললে ভুল হবে।
আরও পড়ুন-৬ ডিসেম্বর রাজ্যে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করব না, পুলিস কর্তাদের সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা
এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলার রায়ের পর ফের কেন পুনর্বিবেচনার আবেদন? এনিয়ে অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতাকারী রবিশঙ্কর বলেন, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার অধিকার মুসলিম পক্ষের রয়েছে। তবে মামলার রায় হয়ে গিয়েছে। তাই আমার অনুরোধ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের একবার ভাবা হোক।
অন্যদিকে, অযোধ্যা রায় নিয়ে জমিয়তের সভাপতি আরশাদ মাদানি বলেন, শীর্ষ আদালকের রায় সাধারণ মানুষরে বোধগম্যের বাইরে। এই রায় পুনর্বিবেচনার উদ্দেশ্য শুধু মর্যাদার লড়াই নয় বরং এটি একটি ধর্মীয় বিষয়।