গড়করির স্বপ্নে জল ঢালতে তৈরি যশবন্ত
ভারতীয় জনতা পার্টির `নম্বর ওয়ান ম্যানের` লড়াইটা হঠাত্ই জমে উঠল। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় গড়করির জয় যখন কার্যত নিশ্চিত, তখনই ময়দানে নামলেন হাজারিবাদের সাংসদ তথা বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা যশবন্ত সিনহা। মঙ্গলবারই যশবন্ত সিনহা প্রতিনিধি বিজেপি সদর দফতর থেকে মনোনয়ন পত্র তোলেন। বুধবার বিজেপির সভাপতি পদের নির্বাচন হওয়ার কথা।
ভারতীয় জনতা পার্টির `নম্বর ওয়ান ম্যানের` লড়াইটা হঠাত্ই জমে উঠল। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় গড়করির জয় যখন কার্যত নিশ্চিত, তখনই ময়দানে নামলেন হাজারিবাদের সাংসদ তথা বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা যশবন্ত সিনহা। মঙ্গলবারই যশবন্ত সিনহা প্রতিনিধি বিজেপি সদর দফতর থেকে মনোনয়ন পত্র তোলেন। বুধবার বিজেপির সভাপতি পদের নির্বাচন হওয়ার কথা।
কিন্তু এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, যশবন্তের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির রাজনৈতিক সমীকরণ কোথায় দাঁড়াবে? গড়করির শিবির ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নিতিনই হবেন প্রধান। শুধু তাই নয়, গড়করির বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁর নিরঙ্কুশ জয় কামনা করছেন নিতিনপন্থীরা। যদিও সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি আদবানি থেকে দলের মুখপাত্র রবি শঙ্কর প্রসাদ কেউই।
সংঘের ঘনিষ্টদের জানা, গড়করি বরাবরই রাষ্ট্রীয় সয়মসেবক সংঘের আস্থা ভাজন থেকেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পরিচালনায় আরএসএসের অবদান অনেক। এমনটাও এক কথায় স্বীকার করে নেন সকলেই। সুতরাং গড়করির হারে ধাক্কা লাগবে সংঘের স্লাঘাতেও। সেইসঙ্গে বিজেপির ওপর আধিপত্যও প্রভাবিত হবে আরএসএস-এর। বিজেপি-আরএসএস-এর গাঁটছড়া আলগা হোক এমনটা চান না খোদ সংঘ প্রধান মোহন ভাগবৎও।
সুষমা স্বরাজ থেকে অরুণ জেটলি, নরেন্দ্র মোদী থেকে রাজনাথ সিং সকলেই মুখ ফিরিয়েছেন গড়করির থেকে। কিন্তু আরএসএস এখন গড়করিতে গোঁ ধরে বসে। তা সত্ত্বেও বিজেপির একাংশ মনে করছে গড়করিকে দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতির আসনে বসানো ঠিক হবে না। কারণ দুর্নীতির খাড়া ঝুলছে তাঁর ওপর। কেউ কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও পিছ পা হননি। এখন দেখার আখেরে গড়করির জয় নিশ্চিত করতে কারা এগিয়ে আসেন। এদিন সন্ধের গতিবিধি দেখে অনেক বিশ্লেষকদের মত, সভাপতি নির্বাচনে ঐক্যমত গঠন করতে না পারায় আগেই মুখ পুড়েছে বিজেপির। এখন দলের ভেতরের উষ্মা ঠেকাতে কোনও রকমে মান বাঁচাতে মরিয়া দল।