আগামিকাল দিল্লিতে বামেদের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কনভেনশন, থাকবেন শ্যাম বেনেগাল, মল্লিকা সারাভাই
আগামিকাল দিল্লিতে বামেদের ডাকে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কনভেনশন ডাকা হয়েছে। চার বাম দল ছাড়াও কনভেনশনে থাকার কথা নীতিশ কুমার, নবীন পট্টনায়ক, মুলায়ম সিং, জয়ললিতার দলের প্রতিনিধিদেরও। এই মঞ্চে থাকছেন শ্যাম বেনেগাল এবং মল্লিকা সারাভাইয়ের মতো বুদ্ধিজীবীরাও।
আগামিকাল দিল্লিতে বামেদের ডাকে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কনভেনশন ডাকা হয়েছে। চার বাম দল ছাড়াও কনভেনশনে থাকার কথা নীতিশ কুমার, নবীন পট্টনায়ক, মুলায়ম সিং, জয়ললিতার দলের প্রতিনিধিদেরও। এই মঞ্চে থাকছেন শ্যাম বেনেগাল এবং মল্লিকা সারাভাইয়ের মতো বুদ্ধিজীবীরাও।
প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারের ঝড় তুলতে দেশ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিজেপি ঝড় আটকাতে এবার ধর্ম নিরপেক্ষ মঞ্চ গড়ার উদ্যোগ নিল বামেরা। তবে, এই মঞ্চে এখনই কংগ্রেসকে সামিল করতে নারাজ তারা। দিল্লিতে তিরিশে অক্টোবরের ধর্ম নিরপেক্ষ কনভেনশনে একগুচ্ছ বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলকে ডাকছে বামেরা। ইতিমধ্যেই নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল, নীতিশের জেডিইউ, জয়ললিতার এআইএডিএমকে, মুলায়মের সমাজবাদী পার্টি সহ অনেকেই কনভেনশনে উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছে বামেদের। তবে, এখনই চন্দ্রবাবু নাইডু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
২০০৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়েছিল বামেরা। তাহলে এবার কেন বাদ পড়ল কংগ্রেস? বাম নেতারা বলছেন, মনমোহন সিংয়ের সরকার যে অর্থনীতি নিয়ে চলছে তাতে কোনওভাবেই বিকল্প মঞ্চে রাখা যায়না কংগ্রেসকে।
তবে, শুধু রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, দেশের যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা ধর্মনিরপেক্ষতার ইস্যুতে সরব তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই মঞ্চে। মঞ্চের সমর্থনে মুখ খুলেছেন চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
সামিল হয়েছেন নৃত্য শিল্পী মল্লিকা সারভাই। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মল্লিকা সারাভাই। রীতিমতো প্রচারে নামেন মোদীর বিরুদ্ধে। তিনিও সামিল হচ্ছেন এই ধর্মনিরপেক্ষ মঞ্চে।
তবে, শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিকে রোখা আদৌ কী সম্ভব? এ প্রশ্ন নিশ্চিতভাবে উঠে আসবে ৩০ অক্টোবরের কনভেনশনে।