"ক্যাপটেন ঘূর্ণিঝড় Tauktae-র পূর্বাভাসকে গুরুত্ব দেয়নি, ফুটো ছিল life rafts"
চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, ''তখন প্রবল বেগে হাওয়া বইছে, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। এদিকে ক্রমশ জল ঢুকছে জাহাজে। এই সময় life rafts নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু দেখা যায় ১৪ টি life rafts ফুটো ছিল"।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যদি life rafts ফুটো না থাকত আর ক্যাপটেন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসকে গুরুত্ব দিয়ে দেখত, তাহলে এত বড় দূর্ঘটনা ঘটত না। এমনই গুরুতর ভুলের কথা শোনা গেল ডুবন্ত বার্জ পি-৩০৫ থেকে বেঁচে ফেরা চিফ ইঞ্জিনিয়ার রহমান শেখের মুখে। এখনও পর্যন্ত চলছে উদ্ধার কার্য। জানা গিয়েছে, ১৮৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৩৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৫০-র বেশি নিখোঁজ। তবে নিখোঁজের কেউ আর বেঁচে নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রহমান শেখ। বুধবার সন্ধেবেলা তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বয়স ৪৮। তিনি ঝড়ের তাণ্ডবে বিভীষিকা মুহূর্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্র শান্ত হতেই উদ্ধার ৩৭ মৃতদেহ, নিখোঁজ ৫০, ভয়াবহতার কথা জানালেন ক্রু সদস্যরা
রহমান শেখ বলেন, ''ঝড়ের পূর্বাভাস আমরা সপ্তাহখানেক আগেই পেয়ে যাই। ঝড় যে কতটা ভয়ঙ্কর সে সম্পর্কেও অবগত হই। অনেক নৌকা, জাহাজ ফিরে যেতে থাকে তীরের দিকে। আমি তখন ক্যাপটেন বলবিন্দার সিংকে বলি, আমাদেরও উচিত ফিরে যাওয়া। কিন্তু সে আমায় বলেন, "ঝড়ের গতিবেগ বেশি হবে না। খুব বেশি হলেও ৪০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ঝড় বয়ে যাবে। ফেরার দরকার নেই। ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই ঝড় থেমে যাবে"। কিন্তু ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমটারেরও বেশি। ঝড়ের মারে ৫ টি নোঙর ছিঁড়ে যায়। দিশাহীন ভাবে জলের মধ্যে এদিকে থেকে ওদিক হতে থাকে বার্জ। গর্ত হয়ে যায় তলায়। ক্রমশ জল ঢুকে ডুবতে শুরু করে বার্জ ''। প্রসঙ্গত, তকতের সতর্কতার মধ্যেই মুম্বই উপকূল থেকে ৭০ কিমি দূরে বোম্বে হাই এলাকার হীরা তৈলক্ষেত্রে গিয়েছিল পি-৩০৫ বার্জ। বার্জটিতে ২৭৩ জন ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে তৈরি রাখুন শরীরকে, খান Black-eyed peas
সংস্থা এবং ক্যাপটেনের তরফে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেই এই পরিণতি, অভিযোগ জানিয়েছেন বার্জ পি ৩০৫-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
মূলত, যাঁরা ONGC প্ল্যাটফর্মে কাজ করে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা থাকে বার্জে। এটি ইঞ্জিন চালিত জাহাজ হয়না। টগ বোট দিয়ে পরিচালিত হয়। জাতীয় স্তরের এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, বার্জ পি-৩০৫ থেকে Nove এর কাছে SOS প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু মাস্টার সেটি দেখেনি।
আরও পড়ুন: করোনা কালে চুল পড়ছে? মেখে দেখুন এই তেলগুলি
তাঁর কথায়, '' যাঁদের কাছে লাইফ, জ্যাকেট, ভাসমান রিং ছিল, সবাই সেগুলি নিয়ে বিরাট বিরাট ঢেউয়ের মধ্যেই ঝাঁপ দেয়। বিকেল ৫ টার মধ্যে বার্জ সম্পূর্ণ ডুবে যায়। অনেকেই প্যানিক করে স্ট্রোক হয়ে মারা যেতে দেখি চোখের সামনে''।