Manmohan Singh-ই চেয়েছিলেন; সেটাই করছি, কৃষি সংস্কার নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন Modi
বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মোদী বলেন, কেন্দ্র প্রতিটি সরকার ছোট চাষিদের সমস্যার কথা তুলেছে। শরদ পাওয়ার বলেছিলেন। কংগ্রেসও সেই একই কথা বলেছিল। এখন উল্টো কথা বলা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর কথা টেনে এনেই আজ রাজ্যসভায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, কৃষি সংস্কার আইন নিয়ে এখন উল্টো কথা বলছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-কিষাণ নিধিতে ভাগচাষি ও ক্ষেতমজুরদেরও যুক্ত করা হোক : Mamata
টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্ত বসে রয়েছে নয়া ৩ কৃষি আইনের(Farm Laws) বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টেও এই আইন লাগুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যেই আজ রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রঙ বদলের অভিযোগ তোলেন মোদী। কংগ্রেসকে এনিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের(Manmohan Singh) বক্তব্য তুলে ধরেন মোদী(Narendra Modi)।
কৃষি সংস্কার নিয়ে কী বলেছিলেন মনমোহন সিং? নরেন্দ্র মোদীর দাবি, সংসদে দাঁড়িয়ে মনমোহন বলেছিলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হল গোটা দেশে একটি অভিন্ন বাজার। এর জন্য সব আইনি বাধা দূর করা হবে। মনমোহনজি একসময় খোলা বাজারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এর জন্য কংগ্রেস গর্ব হওয়া উচিত। মনমোহনজি যা করতে চেয়েছিলেন তা মোদী করছে। এখন কংগ্রেস ইউ টার্ন নিচ্ছে। কংগ্রেস আমার কথা না শুনুক মনমোহনজির কথায় অন্তত কান দিন।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে সাক্ষাত, TMC-তে ফিরছেন সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্ দাস?
কেন্দ্র বারবারই বলছে, ফসলের ন্যূনতম(MSP) সহায়ক মূল্য বন্ধ করা হচ্ছে না। কিষাণ মান্ডিগুলিরও আধুনিকিকরণ করা হবে। এর পাল্টা দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেন, কৃষকরা কখনওই বলেনি, এমএসপি বন্ধ করা হচ্ছে। বরং তাঁদের দাবি এমএসপি নিয়ে একটি আইন আনুক সরকার।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মোদী বলেন, কেন্দ্র প্রতিটি সরকার ছোট চাষিদের সমস্যার কথা তুলেছে। শরদ পাওয়ার ও কংগ্রেসও সেই একই কথা বলেছিল। এখন উল্টো কথা বলা হচ্ছে। দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই। এমএসপি রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। কৃষি আইন নিয়ে কারও ভুল প্রচার করা উচিত নয়।