দেশের প্রথম তিন ট্রান্সডেন্ডার মডেলকে চিনে নিন
ট্রান্সজেন্ডার বা এলজিবিটি এনজিও মিত্র ট্রাস্ট এবং রুদ্রাণী ছেত্রী চৌহানের উদ্যোগে কাজ শুরু করতে চলেছে ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার মডেল এজেন্সি। প্রথম মডেল কারা হবেন, সেই নিয়ে ছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত নাম ঘোষণা হল ৩ জনের।
ওয়েব ডেস্ক: ট্রান্সজেন্ডার বা এলজিবিটি এনজিও মিত্র ট্রাস্ট এবং রুদ্রাণী ছেত্রী চৌহানের উদ্যোগে কাজ শুরু করতে চলেছে ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার মডেল এজেন্সি। প্রথম মডেল কারা হবেন, সেই নিয়ে ছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত নাম ঘোষণা হল ৩ জনের।
এরা হলেন- স্নেহা, শ্রী এবং নীহারিকা। প্রথম পর্বের বাছাই হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রায় ৩০ জন ছিলেন তালিকায়। বিচারক ছিলেন চার জন— সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট ঋষি রাজ, ফ্যাশন ডিজাইনার নিদা মাহমুদ, কিংফিশার মডেল হান্ট ১৬ জয়ী ঐশ্বর্য সুস্মিতা এবং রুদ্রাণী ছেত্রী চৌহান। এরাই বেছে নিয়েছেন ৩ জন মডেলকে যারা হতে চলেছেন দেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার মডেল। শুধু মডেলিং নয়, বনি কপূরের পরবর্তী ছবিতে অভিনয়েরও সুযোগ পেয়েছেন এদের মধ্যে ২ জন।
জয়পুরে জন্ম নেওয়া স্নেহার বয়স ২২। পরিবারের সদস্যরা মেনে নিতে পারেননি স্নেহার পরিবর্তন। মানসিক চাপে স্কুল ছাড়তে হয়। ১৮ বছর বয়সে দিল্লি চলে যান। কাজের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাবে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন। মডেল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রথম থেকেই। স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে স্নেহার।
দিল্লিতে জন্ম নেওয়া শ্রীর বয়স ২৩। বহুমুখী প্রতিভার শ্রী একজন নৃত্যশিল্পী। নিজেই নিজের পোশাক ডিজাইন করেন। অনেক ছোট বয়সেই পরিবার তাকে বর্জন করে। একবার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে চরম অপমানিত হন। অনেক কষ্টের মধ্যেও অ্যাম্বিশনটা আঁকড়ে থেকেছেন।
২৩ বছর বয়সী নীহারিকার বাড়িও দিল্লিতে। অনেক অল্প বয়স থেকেই যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন নীহারিকা। নিজের শারীরিক পরিবর্তনটা মানতে পারেননি প্রথমটায়। ১৭ বছর বয়সে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেন। এখন কাজ করেন নাইটক্লাবে। মায়ের চিকিৎসা থেকে বোনদের পড়াশোনার খরচ— ওর একার রোজগারেই টিকে আছে গোটা পরিবার। কষ্টের মধ্যেও স্বপ্নটা ছাড়েননি নীহারিকা।