Gangstar Atiq Ahmed Murder: ভোটে লড়েছিলেন মোদীর বিরুদ্ধে; মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যোগী
Gangstar Atiq Ahmed Murder: সাংসদ ও বিধায়ক। তবে তারও আগে গ্যাংস্টার। এহেন আতিক আহমেদ কোনওঠাসা হয়ে গেলেন ভিদায়ক রাজু পাল মার্ডার কেসে। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন রাজু
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামান্য টাঙ্গাওয়ালার ছেলে থেকে অন্ধকার দুনিয়া হাত পাকানো। সেখান থেকে বিধায়ক, নেহরুর লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিল গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। সেই গ্যাংস্টারকে সবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশ ফেরানো হয় উমেশ পাল মার্ডার কেসে। সেইসময় সংবাদমাধ্যমেও আতিক বলেছিলেন, এই সরকারের উদ্দেশ্য আমার কাছে স্পষ্ট। এরা আমাকে খুন করতে চায়। শনিবার প্রয়াগরাজে খুনই হয়ে গেলেন আতিক আহমেদ।
আরও পড়ুন- এনকাউন্টারে খুন 'গ্যাংস্টার' আতিক-আশরাফ, পুলিসের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা যোগীর!
উল্লেখ্য, মোট পাঁচ বারের বিধায়ক, একসম নেহরু-বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের কেন্দ্র ফুলপুরের সাংদস যোগী সরকারের চক্ষুশূল হয়ে গেলেন কীভাবে?রাজনৈতিক মহলের ধারনা কখনও সপা, কখনও আপনা দল করে নিজের শত্রু বাড়িয়েছিলেন আতিক। তবে কোনও কোনও মহল থেকে এমনও বলা হয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে ভোটে দাঁড়ানোকেও ভালো ভাবে নেয়নি যোগী সরকার। এবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন উমেশ পাল। সাংসদ হওয়ার পর তাঁর সেই আসনে লড়াই করেন আকিকের ভাই খালিদ আজিম । কিন্তু তাকে হারিয়ে দেন বিএসপি টিকিটে লড়া রাজু পাল। সেই রাজু পাল খুন হন ২০০৫ সাল। সেই রাজু পাল খুনে প্রধান সাক্ষী ছিলেন আইনজবী উমেশ পাল। এবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি খুন হন। এই উমেশকে ২০০৬ সালে অপহরণ করে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর বিধানসভায় যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, এই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলছি, এই মাফিয়াকে মাটিতে মিশিয়ে দেব। এখনও পর্য়ন্ত ওই মামলায় জড়িত ৮ জনের মৃত্য়ু হল। এদের মধ্যে আতিকের ছেলেও ছিল।
এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে জেতার ২ মাস পরেই খুন হন রাজু পাল। রাজু পাল মার্ডার কেসে ২০০৫ সালেই গ্রেফতার করা হয় আতিককে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে ২০০৮ সালে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান আতিক। কিন্তু ওইসময় জেলে থেকেই নিজের গ্যাং ঠিক রাখতে সমর্থ হন আতিক। ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে মারাত্মক একটি অভিযোগ ওঠে। এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষণে অভিযুক্তদের রক্ষা করছিলেন আতিক। এরপরই আতিক ও তার ভাই আশরফের উপরে চাপ বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে আত্মসমর্পণ করেন দুজন।
গতকাল অবশ্য আচমকাই আতিকের গ্যাংস্টার জীবনে জবনিকা পড়ে যায়। সাংবাদিকের বেশে পুলিসের ঘেরাটোপে ঢুকে আতিক ও আশরফকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। শনিবার প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে ২ জনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মেডিক্য়াল টেস্টের জন্য। সাংবাদিকরা তাদের দুজনকে একের পর এক প্রশ্নও করছিলেন। আতিক তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন। হাত বাঁধা অবস্থায় তাদের দুজনকে নিয়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। সেই সময়ই সবার চোখের সামনে ঘটে যায় এনকাউন্টার। আতিকের বাঁ দিকে থেকে একজন তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। অন্যদিকে, আতিকের ভাই আসরফকে অন্য কেউ একজন গুলি করে।