জেল হেফাজতে স্বঘোষিত গডম্যান রামপাল, ক্ষমা চেয়েও বললেন অভিযোগ ভিত্তিহীন

স্বঘোষিত গডম্যান রামপালকে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা নির্দেশ দিলর আদালত। আদালতে দাঁড়িয়ে রামপাল হাসি মুখে বললেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Updated By: Nov 20, 2014, 03:50 PM IST
জেল হেফাজতে স্বঘোষিত গডম্যান রামপাল, ক্ষমা চেয়েও বললেন অভিযোগ ভিত্তিহীন

ওয়েব ডেস্ক: স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের ২৮ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।  রামপাল অবশ্য দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।  গ্রেফতারি এড়াতে বারওয়ালার আশ্রমে  ভক্তদের আটকে রাখার  অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। গত কাল রাতে বারওয়ালার সত্‍ লোক আশ্রম থেকে গ্রেফতার করা হয় এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক মামলা রয়েছে। সকালেই দুহাজার ছয়ের একটি খুনের মামলায় তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।

গ্রেফতার হওয়া স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালকে আজ পাঞ্জাব ও হরিয়াণার হাইকোর্টে তোলা হয় । বৃহস্পতিবার ভোরেই রামপালকে চণ্ডীগড়ের নিকটবর্তী পাঞ্চকুলা টাউনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়।

স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ (সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্ররচণা), ১২১এ (দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র), ১২২ (ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে অস্ত্র সংগ্রহ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এছাড়ায় ৬৩ বছরের এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, দাঙ্গা ও বেআইনি ভাবে আটক করে রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়ার পর রামপাল দাবি করেন তাঁর উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ডাক্তাররা জানান শারীরিক ভাবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।

অবশেষে গ্রেফতার করা হল স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালকে। রাতে বারোয়ালায়  সতলোক আশ্রম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিস।  বুধবারই আশ্রমে ঢুকে পরে পুলিস। বেড় করে আনা হয় ভক্তদের। দুপুরে গ্রেফতার করা হয় রামপালের ভাই পুরুষোত্তম দাসকে।  

দিনভর টানটান উত্তেজনা আর নাটকের পর অবশেষে গ্রেফতার  স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল। হিসারের সতলোক আশ্রম থেকেই বুধবার রাত নটা কুড়ি নাগাদ পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁকে আশ্রমের বাইরে নিয়ে যায় পুলিস।  দুদিন টানা চেষ্টার পরেও রামপালকে বাগে আনতে পারেনি পুলিস। অনুগামীদের ঢাল করে পুলিসকে বাধা দিতে থাকেন স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু। বুধবার সকাল থেকে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। পুলিসের সঙ্গে নামে সিআরপিএফও। সকালেই প্রায় হাজার দশেক ভক্তকে বেড় করে আনা হয় সতলোক আশ্রম থেকে। বুধবারও পুলিসকে আশ্রমে ঢুকতে বাধাদেয়  ভক্তরা। পুলিসকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় অ্যাসিড বোমা। তবে শেষ পর্যন্ত আশ্রমে ঢুকে পড়ে পুলিস। আশ্রম থেকে উদ্ধার হয়  ছটি মৃত দেহ। এদের মধ্যে এক শিশু ও চার জন মহিলা।  পালাতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যান রামপালের ভাই পুরুষোত্তম দাস।

গত চার বছরে ৪৩ বার কোর্টের সমন উপেক্ষা করেছিলেন এই স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু।

.