Gujrat Election Result 2022: সেতু ছিঁড়ে মৃত ১৩০, প্রশ্নের মুখেও মোরবিতে ব্যালটবাক্সে হাসছে বিজেপি!
মোরবি বিপর্যয়ের পর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, নদীর মধ্যে নেমে পড়ে উদ্ধারকাজে সামিল হয়েছেন খোদ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া।
জি ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোরবি। এক অত্যন্ত মর্মান্তিক বিপর্যয়ের পর নামটা এখন পরিচিত গোটা দেশবাসীর কাছে। ছট পুজোর সময় মোরবির মচ্ছু নদীতে কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। মোরবি বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। ৫ বারের বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই স্পটলাইটে। কারণ, মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল মোরবি স্থানীয় প্রশাসন। তবে এদিন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন দেখা গেল, মোরবির মানুষ সেই বিজেপিতেই ভরসা রেখেছেন। ব্যালটবাক্স বলছে, পাতিদার অধ্যুষিত মোরবিতে কংগ্রেসের জয়ন্তী পাটেল ও আপের পঙ্কজ রানসারিয়াকে পিছনে ফেলে, এগিয়ে আছেন ৫ বারের বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া-ই। প্রসঙ্গত, বিপর্যয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েও, উদ্ধারকাজে অবশ্য সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কান্তিভাই আমরুতিয়া।
ছট পুজোর দিন সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ে। ঝুলন্ত সেতুর যখন তার ছিঁড়ে যায়, তখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। মচ্ছু নদীতে ছট পুজো দেখতে জমায়েত করেছিলেন সকলে। সেতু ছিঁড়ে পড়ায় তাঁরাও নদীতে পড়ে যান। সেতু ছিঁড়ে পড়ে নারী-শিশু সহ ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওরেভা নামে একটি সংস্কাকে কেবল সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দিয়েছিল মোরবি প্রশাসন। এই ওরেভা সংস্থাটি মূলত ঘড়ি তৈরির জন্য়ই পরিচিত। যার মালিকরা এখনও ফেরার।
সংস্কার কাজের পর প্রায় ৭ মাস বাদেই খুলেছিল কেবল সেতু। কিন্তু সেতু খুলতেই বিপর্যয়! অভিযোগ, মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই মানুষ চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির প্রমাণ মেলে। পাশাপাশি, ভারবহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠেছিলেন। ব্রিজে লাথি মারা হয়েছিল। ঝাঁকানোও হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ওদিকে বিপর্যয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েও, উদ্ধারকাজে অবশ্য সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কান্তিভাই আমরুতিয়া। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, নদীর মধ্যে নেমে পড়ে উদ্ধারকাজে সামিল হয়েছেন খোদ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক আমরুতিয়াও।
আরও পড়ুন, ১৫ বছরের গেরুয়া-রাজপাট শেষ, দিল্লির দখল গেল কেজরিরই হাতে!
ঘরের প্রতি মেয়েকে ২ লাখ ২০ করে দিচ্ছেন মোদী! সত্যি?
বিপর্যয়ের পর একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে গুজরাত সরকার। দুর্ঘটনার পর পরই গুজরাত সরকার নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, গুজরাত সফরে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ঘুরে দেখেন, যে প্রান্ত থেকে কেবল সেতুটি ছিঁড়ে পড়েছিল, সেই জায়গাটিও। একইসঙ্গে দুর্গতদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।