উত্তরপূর্বাঞ্চলে উন্নত হয়নি বন্যা পরিস্থিতি, ওড়িশায় বিপদসীমার উপরে মহানদী

দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ওড়িশায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মহানদী। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাঁইত্রিশ। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পঁচিশ লক্ষ মানুষ। জোরকদমে চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জয়পুর, আজমের, যোধপুর, উদয়পুর সহ রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। টানা বৃষ্টিতে ধ্বস নামে হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায়।

Updated By: Aug 9, 2014, 08:52 AM IST
উত্তরপূর্বাঞ্চলে উন্নত হয়নি বন্যা পরিস্থিতি, ওড়িশায় বিপদসীমার উপরে মহানদী

ওয়েব ডেস্ক: দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ওড়িশায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মহানদী। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাঁইত্রিশ। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পঁচিশ লক্ষ মানুষ। জোরকদমে চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জয়পুর, আজমের, যোধপুর, উদয়পুর সহ রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। টানা বৃষ্টিতে ধ্বস নামে হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায়।

বৃষ্টি কমলেও ওড়িশার বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। মহানদীর জল বিপদসীমা ছাড়ালেও, বইতরনী ও তার অন্যান্য শাখানদীর জলস্তর নেমেছে। হিরাকুঁদ বাঁধের জলস্তর কমে যাওয়ায় শুক্রবার জল ছাড়ার জন্য তিরিশটি গেট খুলে দেওয়া হয়। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় জল সরছে জাজপুর ও ভদ্রক জেলার নিচু এলাকাগুলি থেকে। তবে কেন্দ্রাপাড়া ও পুরীর অবস্থা বেহাল। জেলার সহকারি ত্রাণ কমিশনার প্রভাতরঞ্জন মহাপাত্র জানিয়েছেন, যেসব এলাকা এখনও প্লাবিত, সেখানে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে গতি আনা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে আটশো গ্রামের প্রায় ষোলো লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় তেইশটি জেলাকে দুর্যোগকবলিত বলে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার সাতশো একত্রিশটি গ্রামের প্রায় পঁচিশলক্ষ মানুষ।

শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের সাত জেলায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বারগি বাঁধের একুশটি গেটের মধ্যে পনেরোটি গেট খুলে দেওয়ায় নর্মদা নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বত্রিশ জেলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে প্রশাসন। বিলাসপুরে টানা তিনদিন ধরে চলা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।
 
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শুক্রবার আজমের, উদয়পুর, যোধপুর এবং কোটার বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশী বৃষ্টি হয়েছে দশ সেন্টিমিটার, পালি জেলার জয়তোরণ শহরে। প্রবল বর্ষণ প্লাবিত কোটার বিস্তীর্ণ এলাকা। জোরকদমে চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ।

লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশে ফের মাটিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। দেরাদুনের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বসের ফলে বন্ধ হয়ে যায় বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে। ফলে থমকে যায় চারধামযাত্রা। কেদারনাথেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বিপদসীমা ছোঁয়ার দিকে এগোচ্ছে গঙ্গা ও যমুনা নদী।

 

.