বিপর্যয়ই আনবে বিপ্লব! ফের চাঙ্গা হবে ভারতের অর্থনীতি, ইতিহাস স্মরণ করালেন রাজন
সেই ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা য়ায় ১৯৯১-৯২ সালের অর্থনীতির সংকটের ফলে তত্কালীন সরকার আমদানির শুল্ক হ্রাস করে। বহু সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণের জেরে দেশের অর্থনীতি যে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত তা নিয়ে দ্বিমত নেই কারোর। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতীয় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন। প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যঙ্ক গভর্নরের দাবি, এই সময় দেশের অর্থনীতি অন্য মাত্রা পেতে পারে। অধিক মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে এই ধাক্বা পরবর্তী সময়ে। এমন সম্ভাবনার কথাও শুনিয়েছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এই অধ্যাপক।
তিনি বলেছেন, "ভারত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সমস্যায় দাঁড়িয়ে আছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ২১ দিনের লকডাউন মানে বহু মানুষের রোজগার হারানোর সম্ভাবনা। বহু মানুষের অনাহারে থাকার সম্ভাবনা।" রঘুরাম রাজন ব্লগে লিখেছেন, ভারত সবসময় বিপর্যয়েই নিজেকে সাজিয়ে তোলে। ভারতের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যাবে বারবার ধাক্বাই বদলে দিয়েছে দেশের অর্থনৈতিক মানচিত্র।
আরও পড়ুন- দেশের জিডিপির ভোল পাল্টে দেবে করোনাভাইরাস, শঙ্কিত খোদ RBI
সেই ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা য়ায় ১৯৯১-৯২ সালের অর্থনীতির সংকটের ফলে তত্কালীন সরকার আমদানির শুল্ক হ্রাস করে। বহু সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। যা ভবিষ্যতে এক্সচেঞ্জ বোর্ড গঠনের দিকে পরিচালিত হয়। ১৯৯৭-৯৮ সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পরে আর্থিক সংকটের ফলে বৃহত আকারে রাজস্ব আয়ের দিকে পরিচালিত হয়েছিল দেশ। ২০১৪ সালে সারা দেশে অধিক মাত্রায় অসংগৃহীত ঋণের দরুন ট্যাপার ট্যান্ট্রামের পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে চাঙ্গা হয়েছিল দেশীয় বাজার।
এভাবেই ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেছেন আগেও কঠিন পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। এবারেও অন্যথা হবে না।