ইশরাত ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় গ্রেফতার আইপিএস
ইশরাত জাহান মিথ্যা এনকাউন্টার মামলায় গুজরাতের আইপিএস অফিসার জিএল সিংঘলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই মামলায় সিংঘলই প্রথম আইপিএস যাঁকে গ্রেফতার করা হল।
ইশরাত জাহান মিথ্যা এনকাউন্টার মামলায় গুজরাতের আইপিএস অফিসার জিএল সিংঘলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই মামলায় সিংঘলই প্রথম আইপিএস যাঁকে গ্রেফতার করা হল।
উনিশ বছরের কলেজ ছাত্রী ইশরাতকে আরও তিনজনের সঙ্গে ২০০৪-এর ১৫ জুন আহমেদাবাদ ক্রাইমব্রাঞ্চ এনকাউন্টারে হত্যা করে।
পুলিসের দাবি ছিল ইশরাত, জাভেদ শেখ, আমজাদ আলি রানা ও জিশান জোহার এই চারজন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার মিশনে নিযুক্ত ছিলেন।
এই এনকাউন্টার নিয়ে সারা দেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী প্রশাসন। বেশ কিছু আইপিএস সহ ২০ বেশি পুলিস আধিকারিকদের এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে আহমেদাবাদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস পি তামাঙ্গ এই এনকাউন্টারকে সম্পূর্ণ ভুয়ো আখ্যা দেন। খারিজ হয় ইশরাতদের জঙ্গি হওয়ার পুলিসি দাবিও। বাইশজন পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তাব দেন তিনি।
২০১০-এর অগাস্ট মাসে গুজরাত হাইকোর্ট শীর্ষ আদালতের কাছে ইশরাত জাহান কেসে তদন্তের জন্য সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল নিয়োগের আবেদন করে। এই ঘটনাকে ব্যতিক্রমী এবং এর শাখাপ্রশাখা সুদূর বিস্তৃত বলে জানায় গুজরাত হাইকোর্ট। এর সঙ্গেই ঘটনার তদন্ত যথাযথ ভাবে না করার জন্য হাইকোর্টের সমালোচনার সম্মুখীন হয় গুজরাত পুলিস প্রশাসন।
গ্রেফতার হওয়া আইপিএস অফিসার সিংঘল ইশরাতদের এনকাউন্টারের সময় আহমেদাবাদের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার ছিলেন। সহরাবুদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় এই ঘটনার অপর অভিযুক্ত আইপিএস ডিজি বাঞ্জারা ইতিমধ্যে জেল খাটছেন। যদিও আর এক অভিযুক্ত আইপিএস পিপি পান্ডে বর্তমানে গুজরাতের ডিজিপি।