কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ: জয়ললিতা, মোদী

রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার প্রশ্নে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। জাতীয় উন্নয়ন পরিষদে পাঠানো চিঠিতেই এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সরকারের জোটসঙ্গী হওয়ার কারণে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র, এবং অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে মনমোহন সিং সরকার।

Updated By: Oct 22, 2011, 06:54 PM IST

রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার প্রশ্নে পক্ষপাত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। একযোগে এই অভিযোগ করলেন গুজরাত ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, পছন্দের রাজ্যগুলির জন্য বেশি অর্থবরাদ্দ করছে কেন্দ্র। একই অভিযোগ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতারও। উন্নয়ন পরিষদে পাঠানো চিঠিতেই এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সরকারের জোটসঙ্গী হওয়ার কারণে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র, এবং অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে মনমোহন সিং সরকার।
কেন্দ্রের অন্যতম জোট শরিক, তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বাড়তি সুযোগ সুবিধা আদায় করার নীতিতে অবিচল তৃণমূলনেত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত গুরুত্বও। জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে প্রথা ভেঙে সবার আগে নিজের বক্তব্য ও দাবি পেশ করতে দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন পশ্চিমবঙ্গকে অন্য রাজ্য থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তার ব্যাখ্যা দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নেই এবার সরগরম জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠক। বৈঠকে হাজির না থেকেও চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মানুষ যতটা ভারতীয় নাগরিক, অন্য প্রদেশের মানুষও ততটাই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেইসব রাজ্যের সাধারণ মানুষের অনুরোধ রাখছে না এবং ন্যায্য পাওনাটুকুও দিচ্ছে না। বারবার অনুরোধ সত্বেও বিশেষ সাহায্য বা অনুদান পায়নি তামিলনাড়ু সরকার। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের শরিক দল হওয়ায় তাদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে। অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির প্রতি এটা সম্পূর্ণ বিমাতৃসুলভ আচরণ।
পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ সাহায্য দেওয়ার প্রশ্নে একই অভিযোগ করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে বণ্টন করছে তা জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি। 
যদিও এদিনের বৈঠকে উন্নয়ন প্রশ্নে রাজ্যগুলিকে রাজনীতির উর্ধে উঠে কাজ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ও জয়ললিতার এই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল। একই সঙ্গে আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নে বাকি রাজ্যগুলির থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি যে সহজে মনমোহন সিংয়ের পিছু ছাড়বে না তাও স্পষ্ট হয়ে গেল।

.