শশীকলার ভাইকে জেলে পাঠালেন জয়ললিতা
মাস দেড়েক আগেই ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে নিজের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী শশীকলাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন এআইএডিএমকে প্রধান জয়ললিতা। এবার আম্মার রোষে পড়লেন শশীকলার ভাই দিবাকরণ।
মাস দেড়েক আগেই ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে নিজের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী শশীকলাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন এআইএডিএমকে প্রধান জয়ললিতা। এবার আম্মার রোষে পড়লেন শশীকলার ভাই দিবাকরণ। থিরুভারুর জেলার ঋষিয়ুর গ্রামে এক মহিলার বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিস। স্থানীয় আদালত আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীর হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর ত্রিচি জেলে পাঠানো হয় এই বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে নেতাকে।
গত ডিসেম্বর মাসে শশীকলা, দিবাকরণ-সহ ১৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন জয়ললিতা। এই তালিকায় ছিলেন, শশীকলার স্বামী এম নটরাজন, তাঁদের আত্মীয় টি টি ভি দিনকরন ও শশীকলার ভাইপো তথা জয়ললিতার পালিত পুত্র ভি এন সুধাকরনও। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাঁদের সঙ্গে বিশেষত শশীকলার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার জন্যও দলীয় কর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।
তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০১১-র মে মাসে এআইএডিএমকে ক্ষমতায় ফেরার পরই শশীকলা যে ভাবে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন, তা ভাল চোখে নেননি জয়ললিতা। তা ছাড়া শশীকলা বেশ কিছু বিধায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জয়ললিতার নেতৃত্ব খর্ব করতে চাইছিলেন বলেও খবর। সেই কারণেই দীর্ঘদিনের বন্ধুকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর আগে ১৯৯৬ সালে ডিএমকে জমানায় জয়ললিতার আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দু`জনকেই গ্রেফতার করা হয়। তার পরই সাময়িক ভাবে দূরত্ব তৈরি হয় আম্মা-শশীর। সে সময়ও দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শশীকলা। পরে অবশ্য সেই দূরত্ব ঘুচে যায়। ফের শশীকলাকে দলে ফিরিয়ে নেন এআইএডিএমকে সুপ্রিমো।